আগরতলা: ত্রিপুরায় ভোটের আগেই গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের (Greater Tipra Land) দাবি নিয়ে তিপ্রা মথার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। মথার প্রধান এবং রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আমন্ত্রণের কথা জানিয়েছেন। মথার দাবি, বৃহত্তর তিপ্রা ল্যান্ডের ব্যাপারে লিখিত আশ্বাস (Written Assurance) না পেলে তারা কোনও দলের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা করবে না। বামেদের সঙ্গেও মথার কথা চলছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক (CPM State Secretary) জিতেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। এখন কোনও লিখিত আশ্বাস দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে বামফ্রন্ট বুধবার সন্ধ্যায় তাদের প্রার্থী তালিকা (Candidate List) প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ে রেখে বামফ্রন্ট ৪৬টি আসনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তালিকায় ২৪ জনই নতুন প্রার্থী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী নেতা মানিক সরকার-সহ সিপিএমের অনেক প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীই এবার ভোটে লড়াই করবেন না। ফ্রন্টের আট বিধায়ক প্রার্থী হচ্ছেন না। রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী নিজে সাব্রুম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর। তিন শরিক সিপিআই, ফব এবং আরএসপি একটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
এই পার্বত্য রাজ্যে ৬০টি আসনের মধ্যে ২০টি তফসিলি উপজাতি এবং ১০টি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। উপজাতিদের সংরক্ষিত ২০টির মধ্যে তিনটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে বাকি ১৭টিতে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে। ১০টি তফসিলি জাতির সংরক্ষিত আসনে বামেরাই লড়ছে।
আরও পড়ুন: Tarader Sesh Chithi Court Verdict: আদালতের রায়ে পুনঃপ্রকাশিত ‘তারাদের শেষ চিঠি’
কংগ্রেস সূত্র্রের খবর, ১৩টি আসনে তারা সন্তুষ্ট নয়। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হবে। আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে।
তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত দাবি করেন, তাদের সঙ্গে কোনও দলের আসন সমঝোতা বা জোট নিয়ে কথা হয়নি। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পৃথক তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। আমরা বরাবর বলে আসছি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লিখিত আশ্বাস না পেলে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা নয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, তিপ্রা মথার সঙ্গে প্রাক নির্বাচনী সমঝোতা করার জন্য বিজেপি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি নিয়ে মথার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে ভোটের আগেই।
তিপ্রা মথার শীর্ষ সূত্রের খবর, দলের সভাপতি বি কে রঙ্খল, প্রাক্তন মন্ত্রী মেবার কুমার জামাতিয়া, অনিমেষ দেববর্মা প্রমুখ নেতা শীঘ্রই দিল্লি যাবেন। দলের প্রধান প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মা এখনও দিল্লিতেই আছেন। সিপিএম নেতারা তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।