নয়াদিল্লি: ২০২২ সালে সারা বিশ্বে যতগুলি সাইবার হামলা (Cyber Attacks) হয়েছে এবং যত পরিমাণ ডেটা চুরি গিয়েছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশ ডিজিটাল ডেটা (Digital Data) ভারত থেকে চুরি গিয়েছে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে (Maryland, US) অবস্থিত সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা টেনেবল (Cybersecurity Company – Tenable)-এর দেওয়া রিপোর্ট বলছে, গত বছর ডেটা চুরির কবলে পড়া দেশের তালিকায় ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর, এই সময়পর্বের মধ্যে ১,৩০০-রও বেশি ডেটা চুরির (Data Breaches) ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে টেনএবলের সিকিউরিটি রেসপন্স টিম (Tenable’s Security Response Team) বিশ্লেষণ করেছে। সেই বিশ্লেষণের তথ্য টেনএবল ২০২২ থ্রেট ল্যান্ডস্কেপ রিপোর্টে (Tenable 2022 Threat Landscape Report) প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সময়পর্বে সারা বিশ্বে ২.২৯ বিলিয়ন রেকর্ড হ্যাকারদের (Hackers) হাতে চলে গিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টি ডেটা চুরির ঘটনায় এশিয়া প্যাসিফিক এবং জাপান অঞ্চলের (Asia Pacific and Japan Region) অবদান ৬৮ শতাংশ। ডেটা চুরি যাওয়া দেশ ও অঞ্চলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত থেকে গত বছর প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন রেকর্ডের নাগাল পেয়েছে হ্যাকাররা। সেই তুলনায় উত্তর আমেরিকা (North America), ইউরোপ (Europe), মধ্যপ্রাচ্য (Middle East) ও আফ্রিকার (Africa) সম্মিলিত অবদান ৬৯০ মিলিয়ন।
আরও পড়ুন: Andrey Botikov: স্পুটনিক ভ্যাকসিন আবিষ্কারক বিজ্ঞানীর রহস্যমৃত্যু রাশিয়ায়
ভারতে বেশিরভাগ ডেটা ব্রিচের ঘটনা ঘটেছে ব়্যানসামওয়্যার হামলা (Ransomware Attacks) এবং অসুরক্ষিত ডেটাবেসের (Unsecured Databases) কারণে। বিশ্লেষকরা জানতে পেরেছেন, ভারতে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ব়্যানসামওয়্যার হানা হয়েছে, আর ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী আনসিকিউরড ডেটাবেস। হেলথকেয়ার এবং রিটেইল সেক্টর (Healthcare and Retail Sectors) – এই দু’টি ক্ষেত্রকে বেশি করে টার্গেট করেছে হ্যাকাররা। দুই ক্ষেত্রেই ডেটার চুরির ঘটনায় অবদান ১১ শতাংশ করে। ভারতে ডিজিটাল হানায় আক্রান্ত অন্যান্য ক্ষেত্র হল – আর্থিক পরিষেবা (Financial Services), শিক্ষা (Education), পেশাদারি ও কারিগরি পরিষেবা (Professional and Technical Services) এবং জন প্রশাসন (Public Administration)। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ৬ শতাংশ করে ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গবেষকদের রিপোর্ট এটাও বলছে, বেশিরভাগ সিকিউরিটি ব্রিচের ঘটনা ঘটেছে পুরনো বিদ্যমান দুর্বলতা এবং ত্রুটির (Old Existing Vulnerabilities and Flaws) কারণে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সমস্যাই ২০১৭ সালে দেখা দিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ জানা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি প্যাচ (Security) প্রয়োগ না করায়, ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে।