কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও উত্তাল ক্যাম্পাস। ওই ঘটনায় ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের ইস্তফার দাবিতে বুধবার রাতভর তাঁকে ঘেরাও করে রাখে ছাত্রদের একাংশ। বৃহস্পতিবারও ওই ছাত্রদের ঘেরাও আন্দোলন অব্যাহত ছিল। দুপুরে তিনি ঘেরও মুক্রত হব। ছাত্রদের ঘেরায়ের জন্য বুধবার তিনি লালবাজারে হাজিরা দিতে পারেননি। লালবাজার সূত্রে খবর, রজতকে এদিন ফের তলব করা হয়েছে। দুপুর ৩টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঘেরাও চলতে থাকলে ডিন লালবাজারে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে আবারও ডাকতে পারে লালবাজার (Lal Bazar)।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে ব়্যাগিং চললেও ডিন অফ স্টুডেন্টস সহ অনেক অফিসারই মুখ বুজে থেকেছেন দিনের পর দিন। তদন্তকারী অফিসাররা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেও সন্তুষ্টু হতে পারেননি। সূত্রের খবর, অনেক প্রশ্নের জবাবেই রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের থেকে জেনে তারপর তিনিবলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে এক জনের মৃত্যু
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অফিসার , শিক্ষককেও লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিভাগীয় প্রধানদের ওই দিনই বৈঠক করেন রাজভবনে। দুটি ক্ষেত্রেই অনেক শিক্ষক এবং অফিসার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে কার্যত অনাথ। তার জন্যই এত অরাজকতা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন ডিন অব স্টুডেন্টস, হস্টেল সুপার এবং রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়েও।
এদিকে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিক্ষোভ অবস্থান চলছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের। এসএফআই সহ চারটি বাম ছাত্র সংগঠন এদিন বিকেলে মিছিলের ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও রাজনাতিক দলের পতাকাবিহীন মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মিছিলে পা মেলাতে বিদ্বজ্জনেদেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। বাম নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ওই মিছিলে শামিল হবেন। বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তনীরা মোমবাতি মিছিল করেন। তাতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।