কলকাতা: রঘুবীর আর রাজকুমার দু’জনে মিলে মদ আর বিরিয়ানি খাচ্ছিল। মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখছিল। খাবারের লোভ দেখিয়ে এক নাবালিকাকে তারা শারীরিক নির্যাতন করে। শিশুটি বাধা দিলে শেষপর্যন্ত গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করে। জোড়াবাগান এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। পুলিশ তদন্তে নেমে এক স্নিফার ডগকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পুলিশ কুকুর ওই এলাকার দু’টি দোকানের দিকে ইঙ্গিত করে।
জোড়াবাগানের কিশোরী ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি লালবাজারকে। কারণ পুলিশ কুকুরের তৎপরতা। খুন বা ওই ধরনের বড় অপরাধে তাই খোঁজ পড়ে লালবাজারের আদরের জিপসিকে। জার্মান শেফার্ড প্রজাতির ওই গোয়েন্দা কুকুর গন্ধ আর অপরাধ শনাক্ত করতে ওস্তাদ। ন’ বছর বয়স। প্রচুর অভিজ্ঞতা। বহু জটিল কেস স্রেফ গন্ধ শুঁকে সলভ করে দিয়েছে লালবাজারের জিপসি। কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন রহস্যভেদেও গোয়েন্দাদের অন্যতম ভরসা জিপসি।
আরও পড়ুন-গড়িয়াহাট জোড়া খুন: আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শুরু
মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কাঁকুলিয়া রোডে এসে পৌঁছয় গোয়েন্দা কুকুর জিপসি। গায়ে জলপাই রংয়ের জংলা-ছোপ জ্যাকেট। সঙ্গে ছিলেন পুলিশের দুই অফিসার। ৭৮/এ কাঁকুলিয়া রোডের ঠিকানায় যেখানে খুন হয়েছে, যেখান থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার হয়েছে, ঘুরে দেখে জিপসি। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইরে কয়েকটা গাড়ি শুঁকে দেখে। রাস্তাঘাট বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল। তার মধ্যেই কাজ করছিল গোয়েন্দা জার্মান শেফার্ড। এর পর গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে কাঁকুলিয়া রোড ধরে বেরিয়ে জিপসি বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে চলে যায়। পুলিশের অনুমান অপরাধের পর এক বা একাধিক আততায়ী বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে কোনও গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছে। অন্তত জিপিসির গতিবিধি সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জিপসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গোয়েন্দারা৷ নিজস্ব চিত্র৷