লেহ: পর্যটকদের জন্য খুশির খবর! লাদাখের সংরক্ষিত এলাকা এবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতকাল চীন সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিরাপত্তার কারণে ওইসব অঞ্চলে সাধারণ পর্যটকদের যেতে দেওয়া হত না। কিন্তু, এবার পর্যটন শিল্পে আরও জোয়ার আনতে লাদাখের সেই সমস্ত এলাকার কাঁটাতার তুলে নেওয়া হবে।
অভিযাত্রী, রোমাঞ্চ-পর্যটন ও সাধারণ পর্যটকদের কাছে লাদাখ চিরকালই সৌন্দর্য ও ভয়ঙ্কর রূপের অমোঘ হাতছানি। লাদাখের পরতে পরতে রয়েছে প্রকৃতির অপার রহস্য। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বরফের উপর ঢলে পড়া সূর্যের সোনাগলা অপরূপ, অকৃপণ রঙের কারুকাজ। সীমান্ত নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি কাউকে যেতে হত না। এবার পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেইসব এলাকাতেও যাওয়ার ছাড়পত্র দিতে চলেছে।
খুব শীঘ্রই পর্যটকরা লাদাখের মারসিমিক লা (লা অর্থাৎ গিরিপথ), সোগৎসালো এবং চাং চেনমো সহ অন্য অংশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। বাইক অভিযাত্রীদের জন্য আরও সুখবর! তাঁরা লাদাখের অতি নিরাপত্তামূলক বিধিবদ্ধ এলাকাতেও দুচাকা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন। যেমন, পেংগং লেকের নিকটবর্তী চাং চেনমোতে এতদিন কারও যাওয়ার অনুমতি ছিল না। সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পর্যটকরা ১৮ হাজার ৩১৪ ফুট উচ্চতার মারসিমিক গিরিপথ থেকে সোগোৎসালো পর্যন্ত যেতে পারবেন। যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার একেবারে ধারে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে পর্যটকরা স্মারকস্তম্ভ পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি পাবেন। ১৯৫৯ সালের ২১ অক্টোবর চীনা সেনার হাতে শহীদ ১০ সিআরপিএফ জওয়ানের স্মৃতিতে এই স্মারক তৈরি হয়েছিল। তবে যাঁরা ধূমপায়ী কিংবা তামাকজাত নেশা করেন, তাঁদের জন্য সাবধানবার্তা। কারণ জেলা প্রশাসন গোটা এলাকাকে নেশামুক্ত অঞ্চল বলে ঘোষণা করছে। রাস্তাঘাটে সিগারেট পান কিংবা তামাক নেওয়া যাবে না।