কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জেপি নাড্ডার নির্দেশ উপেক্ষা করেই ফের বাংলা ভাগের কথা বললেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। শুক্রবার বিধানসভার লবিতে বিজেপি বিধায়ক বলেন, যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা চান বাংলা ভাগ। এই দাবিকে কখনওই চাপা দেওয়া যায় না। যাবেও না।
বিজেপি বিধায়ককে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবারই তো দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলা ভাগ নিয়ে বিধায়ক সাংসদদের মুখ খুলতে নিষেধ করেছিল। বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, ভোকাল ফর লোকাল। বিধায়ক হিসেবে আমি তো আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কথা বলবই। তাঁর দাবি, কার্শিয়াংকে ১৯৫৪ সালে বাংলায় ঢোকানো হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত কার্শিয়াং কোনওদিনই বাংলার মধ্যে ছিল না। তিনি বলেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আমি যখন একথা বলছি, তখন ধরে নেওয়া যায় ভারত সরকারের কাছেও একই আবেদন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের বাংলা ভাগ নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে। নাড্ডার স্পষ্ট নির্দেশ, বাংলা ভাগ নিয়ে একটি কথাও নয়। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তারপর লোকসভা ভোট। এখন থেকেই ওই দুই ভোটকে পাখির চোখ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: WB Assembly: বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিজেপি প্রস্তাব আনবে বিধানসভায়
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে খুবই ভালো ফল করেছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গে প্রায় সবকটি লোকসভা আসনই সেবার বিজেপি দখল করে। গত বছর বিধানসভা ভোটে অবশ্য বিজেপি লোকসভা ভোটের পরম্পরা ধরে রাখতে পারেনি। বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অনেকগুলি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। তা সত্ত্বেও বিধানসভা ভোটের পর থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদ পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করে আসছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, সাংসদ জয়ন্ত রায়ের মতো অনেকেরই বক্তব্য, স্বাধীনতার পর থেকেই উত্তরবঙ্গ নানা বঞ্চনার শিকার। তাই পৃথক উত্তরবঙ্গ চাই।