কলকাতা: কুন্তল ঘোষের চিঠির তদন্তে কলকাতা পুলিশের হস্তক্ষেপের সুযোগ থমকে গেল। আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশের উপর হাইকোর্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দিল।
সিবিআই (CBI) ও ইডির (Enforcement Directorate) বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আলিপুরের সিবিআই আদালতের বিচারক নির্দেশ দেয়, এই অভিযোগের তদন্ত সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা একসঙ্গে করবে।
সিবিআই তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়। তারা আদালতে জানায়, এই দুর্নীতির তদন্ত চলছে হাইকোর্টের তদারকিতে। সেখানে নিম্ন আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, কুন্তল ঘোষকে অন্তত চারবার নিম্ন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কখনও তিনি অত্যাচারের অভিযোগ করেননি। সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, নিম্ন আদালতের বিচারক বিচারাধীন বন্দিকে চেম্বারে ডেকে কথা বলেছেন। তখনই কুন্তল অত্যাচারের অভিযোগ করেন। অথচ তিনি যে চিঠি দেন, তাতে ইডি, সিবিআইয়ের এত অফিসারের নাম ছিল না। বিচারকের চেম্বারে গিয়ে কুন্তল ইডির দুজন এবং সিবিআইয়ের একজন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সিবিআই আইনজীবী আরও বলেন, ওই বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট নন। তিনি আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। এর ফলে তিন সপ্তাহ ধরে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সব কর্তার সম্পত্তির হিসেবে চাইল আদালত
তাঁর দাবি, নিম্ন আদালত অতিসক্রিয়তা দেখিয়ে আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। সিবিআই ও ইডি’র অভিযোগ, স্রেফ তদন্তের গতিরুদ্ধ করতে এসব মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এদিন যে নথি জমা করেছে তা আদালতকে সন্তুষ্ট করেনি। ২১ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে পর্ষদকে ফের নথি জমা করতে বলা হয়েছে।