কলকাতা: “শকুনের রাজনীতি করে বিরোধীরা চিল চিৎকার আরম্ভ করবে, আর সেগুলো বিস্তারিত জানার আগেই আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে হবে, বিষয়টা তা নয় ।” নীলগঞ্জের ঘটনায় বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কার্যত কেঁপে ওঠে নীলগঞ্জের গোটা এলাকা। ধসে পড়ে একটি বাড়িও। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আশের পাশের বাড়িতেও। দুপুর ২ টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭। সেই দু্র্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি কুণালের।
বাজি শিল্পের সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। তাই বাজি শিল্পকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা ঠিক নয় বলে দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন,“মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন। সেগুলো মেনে চলছে পুলিশ-প্রশাসান। নিশ্চিত ভাবে সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সঠিক তদন্তও করা হবে। তার আগেই বাজি শিল্পকে দোষারোপ করা উচিত নয়।”
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরের বিস্ফোরণে দায় কার ?
প্রসঙ্গত, নীলগঞ্জের বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে সবাই সবটাই জানতেন। তারপরেও চুপ ছিল পুলিশ-প্রশাসন। এমটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমকী বারবার ডেপুটেশন জমা দিয়েও বন্ধ হয়নি এলাকায় বেআইনি বাজি তৈরির কাজ। বিস্ফোরণে একটি গোটা বাড়ি ধসে মাটিতে মিশে গিয়েছে। এলকার সব কারখানার বাজি ওই বাড়িতেই মজুত করে রাখা হত বলে জানান স্থানীয়রা। অভিযোগ, এমনকী তৃণমূলের নেতারাও এই বেআইনি বাজি তৈরির বিষয়ে সবটাই জানতেন। তারপর কারও হেলদোল ছিল না এই নিয়ে। যার পরিণামে প্রাণ হারালেন একাধিক মানুষ।