কুলতুলি: চেন্নাইয়ে কারখানার কাজে যাওয়ার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কুলতুলির যুবক। শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনও হদিস নেই কুলতুলি ব্লকের বাসিন্দা শ্যামাপদ নাইয়ার (Shyamapodo Naiya)৷ কুলতুলির (Kultoli) পশ্চিম নেপালগঞ্জের (Nepalgunge) বাসিন্দা তিনি৷ এলাকার আরও এক যুবক কৄষ্ণ চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গেই গিয়েছিলেন৷ দুর্ঘটনার পর শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসেন কৄষ্ণ চক্রবর্তী৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হদিস পাওয়া যায়নি শ্যামাপদ নাইয়ার৷
হাওড়া থেকে বিকাল ৩টা ২০ মিনিট নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) উঠেছিলেন তাঁরা৷ চার নম্বর কামরায় ছিলেন৷ নিজের সিটে কৄষ্ণ বসে থাকলেও কম্পার্টমেন্টের গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামাপদ৷ সেইসময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ কৄষ্ণ জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন৷ ওখান থেকে সরকারি বাসে চেপে হাওড়ায় আসেন৷ সেখান থেকে বাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন৷ তবে এখনও পর্যন্ত শ্যামাপদের কোনও খোঁজ না পাওয়া যাওযায় দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিবার৷ বারবার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শ্যামাপদের বাবা ও মা৷
আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident | শুক্রবার, ওড়িশা আর করমণ্ডলের দুর্ঘটনা, মাঝখানে ১৪ বছরের ব্যবধান
নিখোঁজ শ্যামাপদর মা ঝর্ণা নাইয়া বলেন, ছেলে চেন্নাইয়ে কাজ করবে বলে গিয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ট্রেনে উঠে বলল, মা ট্রেনে উঠেছি। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। ওর সঙ্গে যে ছিল সে ফিরে এসেছে। ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। শ্যামাপদর বাবা সুশান্ত নাইয়া বলেন, ছেলে বাইরে কাজে যেত। আগেও গিয়েছে। সেই মতো এবার চেন্নাই কাজে যাব বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনার পর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওর সঙ্গে যে গিয়েছিল সে আজ বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু ওর কোনও খোঁজ ওখন পায়নি। বাড়ি ফিরে এসেছে কৃষ্ণ চক্রবর্তী। কিন্তু ওঁর চোখে মুখে আতঙ্ক। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।