কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University Incident) থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার (Aritra Majumder)। মঙ্গলবার সকালেই ফেসবুক পোস্ট করে নিজেকে নির্দোষ বলেন। এও দাবি করেন, যে কোনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় যান ছাত্রমৃত্যুতে সন্দেহভাজন অরিত্র ওরফে আলু। সূত্রের খবর, যাদবপুর থানার তরফে তলব করা হয়েছিল এই ছাত্র নেতাকে। এদিকে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র চট্টপাধ্যায়কেও তলব করেছে পুলিশ।
যাদবপুর থানায় ঢোকার আগে বলেন, আপাতত যাই। কথা বলে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও আগামিকাল বুধবার আলুকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের আগেই এদিন সন্ধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠাল পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুরের আরও এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে যাদবপুর থানার পুলিশ। বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াকেও থানায় তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব়্যাগিং রুখতে হেল্পলাইন নম্বর চালু রাজ্য সরকারের
এদিন সকালে আলু দাবি, চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁর। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করেছেন। তাঁর আরও দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনও ভাবে তিনি যুক্ত নন। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছেন। তদন্ত প্রমাণ হবে যে সেই রাতে হস্টেলে তাঁর সে যাননি। তিনি সদ্য ট্রেকিং করে ফিরেছেন। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তিনি ক্লান্ত।
কিন্তু এরপরই জানা গিয়েছে, ১১ অগাস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রারে সই করেছিলেন অরিত্র ওরফে আলু। কিন্তু মঙ্গলবার ওই ছাত্রনেতাই তাঁর ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, তিনি ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১০ অগাস্ট কাশ্মীরে ছিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।