কলকাতা: বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের মধ্যে যতই বিবাদ হোক না কেন কলকাতা পুলিশ আবারও প্রমাণ করে দিল তারা সব বিষয়ে আপডেটেড। লখনউয়ের মেন্টর গম্ভীর ম্যাচ জেতার পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ থাকার কথা বলেছিলেন। গতকাল সোমবারের ম্যাচে সেই প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে দেন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবার সেই রিয়েকশন কাজে লাগিয়ে জনসাধরণকে বার্তা দিল কলকাতা পুলি্শ। লালবাজার থেকে কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে একটি মজাদার কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।
কী লেখা রয়েছে সেই পোস্ট?
আপনার ফোনে আসা ওটিপি যদি কেউ জানতে চায় তবে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকবেন। এই চুপ থাকা বোঝাতেই গম্ভীর এবং বিরাটে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ওয়েব সিরিজ মানি হায়েস্টের প্রফেসরের ছবিও। প্রথম ছবিতে দ্য প্রফেসর বলছেন- আপনার ফোনে যেই ওটিপি-টা গেছে সেটা বলুন। নীচে একদিকে গৌতম গম্ভীর মুখে আঙুল দিয়ে চুপ রয়েছেন। তাঁর পাশেই বিরাটও একই রকম করে চুপ রয়েছেন। কোহলি-গম্ভীরের ছবির মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের বোঝাতে চেয়েছে, কেউ ওটিপি চাইলে আপনাকে এইভাবেই চুপ থাকতে হব।
আরও পড়ুন: Nepal | Asia Cup | ইতিহাস গড়ল নেপাল, এই প্রথম এশিয়া কাপে খেলবে তারা
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ভারত যখন বিশ্বকাপ জেতে দিল্লির দুই ক্রিকেটারই তখন একই সঙ্গে মাঠ কাঁপিয়েছেন। তবে আইপিএলেরই এক ম্যাচে স্পষ্ট হয়ে যায় কোহলি-গম্ভীরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই। ২০১৩ সালে কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন একটি ম্যাচে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুধু শব্দের লড়াইয়ে থেমে থাকেননি তাঁরা, একে ওপরকে ধাক্কাও দিয়েছিলেন। এরপর থেকে বহু চর্চা হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক ঘিরে। এবারের আইপিএলেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি বিরাট-গৌতম জুটি। প্রথম ম্যাচ জেতার পর মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ থাকতে বলেছিলেন এলএসজির মেন্টর গৌতম গম্ভীর। একই প্রতিক্রিয়া সোমবারের ম্যাচে ফিরিয়ে দেন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনিও মুখে আঙুল দিয়ে দেখান ‘চুপ থাকো’।
ঝামেলা এখানেই থেমে থাকেনি। ম্যাচ হারার পর লখনউয়ের ওপেনার কাইল মেয়ার্স বিরাটে সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যান। তখন ফের কিছু বলেন ওঠেন বিরাট। লখনউয়ের অধিনায়ক কেএল রাহুল সহ বাকিরা গম্ভীরকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও আটকে রাখতে পারেননি। বিরাটও ইতিমধ্যে এগিয়ে এসেছেন, গম্ভীরকে কাঁধে হাত রেখে কিছু বোঝার চেষ্টা করেছেন। বেশ কিছুক্ষণ পর আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি এসে বিরাটকে সরিয়ে নিয়ে যান। আর লখনউয়ের সদস্যরা তাঁদের মেন্টারকে।
কলকাতা পুলিশও এই ঘটনাকে মজার ছলে নিয়েছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। বিরাট-গম্ভীরকে নিয়ে একাধিক ফানি পোস্ট দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে লালবাজারের তরফে যে পোস্টটি করা হয়েছে সেটা একদম আলাদা।