আগরতলা: এবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Election 2023) বিজেপির (BJP) কাছে যেরকম গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হতে চলেছে তিপরা মোথা পার্টি। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস-বামও কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। কারণ, ত্রিপুরার রাজনৈতিক আঙিনায়, বহুকাল ধরে কংগ্রেস বনাম বামেদের লড়াই দেখা গিয়েছে। পরবর্তীকালে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। তাই বিজেপির কাছে এই নির্বাচন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার লড়াই হলেও বাম-কংগ্রেসের পুরনো জমি ফিরে পেতে মরিয়া। আর তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা ত্রিপুরা দখলের লড়াই। যে কারণে, ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ইতিমধ্যে গত শুক্রবার কলকাতায় ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে সময় করে ত্রিপুরায় প্রচারে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সেই বৈঠকের একদিন পরেই তৃণমূল সূত্র থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরসূচি প্রসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হল।
তবে ত্রিপুরার ভোটে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। শিক্ষকদের প্রতিবাদ ধরনা এই কর্মসংস্থানের নিরিখে শাসক দলের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাও বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে ত্রিপুরার জন্য। NCRB-র ডেটা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। এছাড়াও পৃথক তিপরাল্যান্ডের দাবিতে সরব হওয়া সংগঠনগুলির দাবিও রাজনৈতিক আঙিনায় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে চলেছে রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মার পার্টি তিপরা মোথা পার্টি। ২০১৮ সালে ৯টি আসনে লড়াই করে ৮ টিতে জিতেছিল। শাসক জোটে এই পার্টি রয়েছে। তবে গত ২ মাসে সেই পার্টি থেকে তিপরা মোথা পার্টিতে কয়েকজনের যোগদান বেশ প্রাসঙ্গিক হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। তিপরা মোথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ দেববর্মা জানিয়েছেন, তাঁর দাবি মেনে নেওয়ার জন্য যে পার্টি লিখিতভাবে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেবে এই ভোটে সেই পার্টির সঙ্গেই তিনি জোট গড়বেন। আর তাঁর দাবি, পৃথক ত্রিপুরা রাষ্ট্র।