কলকাতা: দত্তপুকুরের (Duttapukur) বিস্ফোরণের ঘটনায় গেফতার এক। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এটাই প্রথম গ্রেফতারি। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির সহযোগী শফিক আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজি কারখানায় শাফিকের অংশীদারিত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত শাফিক আলি বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের পার্টনার বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।
রবিবার সকালে বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর এলাকার মোচপোল গ্রাম। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে দশ জন। দুর্ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে স্থানীয়রা রবিবার থেকেই বলতে শুরু করেন যে, এ সবই কেরামতের কাণ্ড। যে কাণ্ডে রবিবার সকালে কেঁপে ওঠে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের বারাসত শহরও। যে বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারও দেহাংশ উড়ে গিয়ে পড়েছে পাশের বাড়ির ছাদে। যে বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়েছে সাতটি শরীর।
আরও পড়ুন: ভোল বদলাচ্ছে আবহাওয়া, জানুন কোথায় কোথায় বৃষ্টি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর যখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি কারখানায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ, তখন অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিল হয়েছিল কেরামত। এমনকী, ২০২১ সালের পর বাজি তৈরির লাইসেন্স রিনিউ না করিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। যদিও সেবার জামিনে মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল কেরামত। আর তারপরেই বাজির ব্যবসা শুরু করে সে।
অন্যদিকে গতকাল এই ঘটনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান ডিজি’কে। সেখানে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। আর কোনও রং না দেখে অপরাধীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার পরই আজ, সোমবার সকালেই গ্রেফতার করা হল একজনকে। যার নাম শফিক আলি। জেসিবি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় একাধিক বিস্ফোরণ হয়। দমকল কর্মীরা জল দিয়ে বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করেছিলেন। তিনটি কাটা হাত উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়ে যান বারাসত হাসপাতালে।