বেঙ্গালুরু: কর্নাটক হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেও নিষ্পত্তি হল না হিজাব মামলার। বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণ দীক্ষিতের সিঙ্গল বেঞ্চ বিতর্কিত মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ আজ হাইকোর্ট জানায়, চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ধর্মীয় পোশাক পরতে নিষেধ করা হচ্ছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মুখ্য বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজির বেঞ্চ জানিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু হোক। বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় শিক্ষার্থীদের ধর্মীর পোশাক পরতে নিষেধ করা হচ্ছে। আমরা সবাইকে সংযত হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। শান্তি ও প্রশান্তি চাই…বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, আপনারা এই সমস্ত ধর্মীয় জিনিস পরার জন্য জোরাজুরি করবেন না।
গত দু’মাস ধরে রাজ্যের স্কুল-কলেজে হিজাব পরে যাওয়া যাবে কি না সে নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসছে নানা যুক্তি৷ হিজাব পরা তাদের অধিকার বলে সরব মুসলিম পড়ুয়ারা৷ অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার বিরুদ্ধে যাঁরা, তাঁদের বক্তব্য, স্কুল-কলেজ ধর্ম প্রদর্শনের জায়গা নয়৷ এখানে সবাই সমান৷ সব পড়ুয়াকে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম বিধি মানতেই হবে৷
আরও পড়ুন: Kerala HC: হিজাব পরে মুসলিম মেয়েদের মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার অনুমতি কেরল হাইকোর্টের
গত শনিবার কর্ণাটক সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব বা গেরুয়া স্কার্ফ পরা চলবে না৷ তারপরেও সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে হিজাব পরেই হাজির হন মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ৷ সরকারি বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে কোথাও তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, কোথাও কলেজের আলাদা ঘরে ক্লাস না করিয়ে বসিয়ে রাখা হয়৷
রাজ্যজুড়ে ‘হিজাব আন্দোলন’ জোরদার হতেই বুধবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩ দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই৷ তিনি পড়ুয়াদের সমাজে শান্তি বজায় রাখতেও অনুরোধ করেন৷ রাজ্যের মন্ত্রী আর অশোক বলেন, ‘‘সরকার হিজাব বা কেশরী কোনটারই পক্ষে নয়৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে পড়ুয়ারা যা খুশি পরতে পারে৷ কিন্তু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোশাক কোড রয়েছে৷ আপাতত নিরাপত্তার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে৷’’