বেঙ্গালুরু: সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়ে গেল কর্নাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রাজ্যজুড়ে জারি কড়া নিরাপত্তা। ২২৪ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬১৫ জন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১১৩ টি আসন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটক দখল করা কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ কোটি ৩১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪ জন। সারা রাজ্যে পোলিং স্টেশন ৫৮ হাজার ৫৪৫টি।
একমাত্র দক্ষিণের এই রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। দ্বিতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার জন্য বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মাত্র সাত দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৯ টি সমাবেশ এবং ৬ টি রোড শো করেছেন। বিজেপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা কর্নাটকে ২০৬টি ব়্যালি, ৯০টি রোড শো করেছেন। স্থানীয় নেতারা ২৩১টি ব়্যালি ও ৪৮ টি রোড শো করেছেন। পক্ষান্তরে কংগ্রেসের প্রচার ছিল ধারে ভারে অনেকটাই কম। তবে রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের তাবড় নেতারা কর্নাটকে পড়ে থেকেছেন। কংগ্রেসের কাছে এবার মূল ইস্যু ছিল বিজেপি শাসিত সরকারের দুর্নীতি। ৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার বলে কংগ্রেস কর্নাটকে প্রচারে নেমেছিল।
আরও পড়ুন: Amit Shah | বিএসএফ আছে বলে সীমান্তের মানুষ নিশ্চিন্ত, দাবি অমিত শাহের
এরই মধ্যে মঙ্গলবার কর্নাটকবাসীর কাছে চিঠি লিখেছেন। একইসঙ্গে তাঁর ভিডিয়ো বার্তা ভাইরাল হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও টুইটে উন্নত সরকার গড়ার লক্ষ্যে কর্নাটকের মানুষকে ভোট দিতে বলেছেন। তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস। ভোটের দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করে ভোট চেয়ে টুইট করতে পারেন, কংগ্রেস সেই প্রশ্নও তুলেছে। কংগ্র্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও সাহস নেই নির্বাচন কমিশনের। কমিশন কেবল বিরোধীপক্ষের দোষ ধরতেই ব্যস্ত। কাজেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও লাভ নেই। আমরা মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখি।
মঙ্গলবারই কর্নাটক কন্ট্রাক্টর্শ অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যবাসীর কাছে বিবেক ভোট দেওয়ার আবেদন করেছে। কর্নাটকে এবার শাসক দলের দুর্নীতিই ভোটার সবচেয়ে বড় ইস্যু। এক মন্ত্রীর ৪০ শতাংশ কমিশন চাওয়া নিয়ে জোড় বিতর্ক শুরু হয়। এক ঠিকাদার এ কথা বলার পর তাঁকে নানা হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আত্মহত্যা করেন। তারপর থেকেই ঠিকাদাররা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেসও বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি টুইট কর্নাটকের জনগণের উদ্দেশে লেখেন, “রাজ্যের সুশাসন, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির” জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, “আপনার একটি ভোট জনস্বার্থ ও প্রগতি সমর্থক সরকার নিশ্চিত করতে পারে, যা রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।”
On voting day, I urge our sisters and brothers of Karnataka to come out in large numbers to vote for good governance, development and prosperity in the state. Your one vote can ensure a pro-people and pro-progress govt that will continue to take the state to newer heights.
— Amit Shah (@AmitShah) May 10, 2023
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইতিমধ্যে তরুণ প্রজন্ম ও নতুন ভোটারদের ভোটদানের আরজি জানিয়ে টুইট করেছেন ।
Urging the people of Karnataka, particularly young and first time voters to vote in large numbers and enrich the festival of democracy.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2023