কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) জামিন চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku ) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার অসুস্থতার জন্য জামিনের আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী সেলিম রহমান। একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের অনুমতির জন্য আদালতে আর্জিও জানান সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী।
সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা কী, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এদিন সেই মেডিক্যাল রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিন আদালতে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণের ধমনীতে তিনটি ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়েছে। ‘বাইপাস সার্জারি’ করা হতে পারে তাঁর। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে নিয়োগ মামলায় জামিন চাইলেন ইডির হাতে ধৃত, বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সুজয়কৃষ্ণ।
কালীঘাটের কাকুর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল ২০১১ সাল থেকে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর হার্টের যে ধরনের অপারেশন প্রয়োজন, সেটির সাফল্যের হার খুবই কম। আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে বিচারক তাঁকে সতর্ক করে দেন, যাতে এখানকার চিকিৎসকদের অসম্মান না করা হয়। আইনজীবী জানান, বিদেশে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে না। দেশেই চিকিৎসা করানো হবে। কিছু দিন এর জন্য যে কোন শর্তে জামিন বা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করা হল।
আরও পড়ুন: NDA Meet | বিরোধীদের মোকাবিলায় এনডিএকে মজবুত করার রণকৌশল মোদির
যদিও এসএসকেএমের রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। আদালতে পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, এসএসকেএমের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না? এসএসকেএমের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর মুখ্যমন্ত্রী ভরসা রাখেন। নিজের কোনও সমস্যা হলে তিনি চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমকে যান। সুজয়কৃষ্ণ যদি অপরেশন করতে চান তাহলে তো এসএসকেএমকেই করা ভালো। ১৬ দিন তিনি প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। তখন তাঁর হার্টের কিছু হয়নি। এরপরই ইডির আইনজীবী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, এ রকম হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়, যখন তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক চাপে বিভিন্ন সময় সরকারি হাসপাতাল সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণও রয়েছে। জামিনের আবেদন খারিজ করার আর্জি জানান ইডির আইনজীবী।