বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী হিসেবে পরিচিত নানুরের দাপুটে তৃনমুল নেতা (TMC) কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটিতে আসার পরই উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুগামীরা। কাজল শেখ কোর কমিটিতে (Core Committee) জায়গা পাওয়ার পরই ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট তাঁর অনুগামীদের।
মঙ্গলবার কাজলের (Kajal Sheikh) অনুগামী হিসেবে পরিচিত মেহের শেখ (Meher Sheikh) ফেসবুকে তাঁর ছবি দিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে মেহের লেখেন, থামাতে আপনাকে চাইছে যারা, থামবে তারা থামবে। আপনার পথেই জনস্রোত বৃষ্টি হয়ে নামবে। জননেতা কাজল শেখ জিন্দাবাদ।
সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বীরভূমে গিয়ে দলের বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই অনুব্রতহীন বীরভূমে দল চালানোর জন্য কোর কমিটিতে জেলার দুই সাংসদ ছাড়াও কাজলকে অন্তর্ভুক্ত করেন নেত্রী। এর আগে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোর কমিটি গঠন করে দেন। সোমবার মমতা জেলার দুই সাংসদ অসিত মাল, শতাব্দী রায় এবং নানুরের নেতা কাজলকেও কোর কমিটিতে ঢুকিয়ে দিলেন। এতেই নানুর সহ গোটা বীরভূম জেলায় কাজল অনুগামীরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন। কোথাও কোথাও মিষ্টি বিতরণ হয় বলেও দলিয় সূত্রের খবর।
বীরভূম জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই জেলা সভাপতি অনুব্রতর সঙ্গে বিরোধ চলছে কাজল শেখের। একটা সময় দুজনের বাক্যালাভও বন্ধ ছিল। ২০১৬ সালে নানুরে বিধানসভা ভোটে হেরে যান অনুব্রত ঘনিষ্ঠ গদাধর হাজরা। অভিযোগ ওঠে, কাজল গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের জন্যই গদাধর পরাজিত হন। অতীতে গদাধর এবং কাজলের অনুগামীদের মধ্যে একাধিকবার নানুরে সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে দুপক্ষেরই প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, কাজল দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়াও ছিল। পাশাপাশি তিনি দলেও কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এবার কেষ্টবিহীন বীরভূম জেলায় দল চালানোর কোর কমিটিতে কাজলের অন্তর্ভুক্তি বুঝিয়ে দিল, জেলায় এখনও তাঁর যথেষ্ট দাপট রয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবারের ওই বৈঠকে দলীয় সংগঠন নিয়ে নেত্রী খুব বেশি কিছু বলেননি। কেষ্টকে নিয়েও তেমন কোনও আলোচনাও হয়নি। তবে জেলার নেতাদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, কেষ্টকে আর কত দিন ওরা আটকে রাখবে। আমি তো আছি।