ভাঙড়ের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে ভুল করে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করল রাজ্য। অভিযুক্ত বিডিও নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয়।
ভাঙড়ের ভোগালি ১ পঞ্চায়েতের আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার পান ৫৯৫ ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা ভোট পান ৩৮৭টি। অথচ সংশ্লিষ্ট বিডিও জয়ী প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করেন তাতে আখের আলির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই বিডিও বসিরুদ্দিনকে জয়ী সদস্য হিসেবে শংসাপত্রও দেন। পরবর্তীকালে দেখা যায়, বোর্ড গঠনের বৈঠকেও বসিরুদ্দিনের বদলে আখের আলিকে ডাকা হয়েছে। বসিরুদ্দিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এদিন ওই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, বোর্ড গঠনের বৈঠকে ভুলবশত বসিরুদ্দিনের পরিবর্তে আখের আলিকে ডাকা হয়েছে। বিডিও নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, জানাল নির্বাচন কমিশন
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট গণনার পর থেকে বিরোধীদলের বহু জয়ী সদ্যকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। শাসকদলের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনেরও এ ব্যাপারে মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক জেলাতেই বিরোধীদলের জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তা নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কোথাও কোথাও আবার বিরোধী সদস্যদের অপহরণেরও অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আরও অভিযোগ করে, গণনার সময় অনেক এসডিও এবং বিডিও কারচুপির আশ্রয় নিয়ে জয়ী হওয়া সত্বেও বিরোধী প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন। এমনকী পরাজিত প্রার্থীদের জয়ীর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও বহু মামলা বিচারাধীন। ইতিমধ্যে কয়েকটি মামলায় এসডিও বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।