কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনাকে পরিকল্পিত অপরাধ বলে আদালতে দাবি করলেন সরকারি আইনজীবী। শুক্রবার রাতে ধৃত তিন পড়ুয়াকে শনিবার আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, ধৃতরা তদন্তকে প্রভাবিত করছে। তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে বারবার বয়ান বদল করছে। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতেই বারবার বয়ান বদল করছে। তাদের বয়ানে রয়েছে একাধিক অসংগতি রয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনা পরিকপল্পিত অপরাধ। এদিন আদালত এই তিনজনকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার রাতে় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তনী শেখ নাসিম আখতার, গণিত বিভাগের প্রাক্তনী হিমাংশু কর্মকার এবং কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সত্যব্রত রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন আদালতে হাজির করা হয় তাদের। এদিন আদালতে ধৃত নাসিম আখতারের আইনজীবী বলেন, ঘটনার সঙ্গে নাসিমের কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি হস্টেলে থাকতেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডেকেছিল। তিনি সাহায্য করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে গেলেন। আইনজীবীর আরও দাবি, হস্টেল থেকে নাসিম পালিয়ে যাননি। দাদুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মেমারিতে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আইনজীবীর অভিযোগ, ঘটনাটি প্রচারের আলোয় এসেছে বলে পুলিশ যাতে পারছে তাকে গ্রেফতার করছে।
আরও পড়ুন: ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় কী কী হয়েছিল তদন্ত কমিটিকে জবানবন্দিতে জানাল পড়ুয়ারা
অন্যদিকে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অভ্র সেন। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, এনআইএ এবং এনসিবি-কেও যুক্ত করা হোক দাবি মামলাকারীর। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের (Calcutta High Court T S Sivagnanam) বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে পারে। মামলাকারীর দাবি, তদন্তে পুলিশকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। সঠিক পথে এগোচ্ছে না তদন্ত । তাই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। পাশাপাশি ক্যাম্পাস জুড়ে মাদকের ছড়াছড়ি। কারা এই মাদকের কারবার করছে, তা জানতে এনসিবি তদন্ত করুক, দাবি অভ্র সেনের।