কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির (Internal Committee) রিপোর্ট জমা পড়ল। সোমবারই বিকেলে রিপোর্ট জমা পরে। রিপোর্টে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। তবে ছাত্রটি কী ভাবে পড়ে গেল তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রটি পড়ে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে যে ব়্যাগিং হয়েছিল তা বলা হয়েছে রিপোর্টে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি এ-২ ব্লকের সমস্ত আবাসিককে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এদের সকলের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে কমিটি। পাশাপাশি ৪ জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করল অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্ট ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত বা অভিযুক্ত তাদের সম্পূর্ণ বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। ওইদিন হস্টেলে উপস্থিত প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে এফআইআরের সুপারিশ করা হয়েছে। যারা পরোক্ষ মদত দিয়েছে বা ওই সময় হস্টেলে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের চার সেমিস্টার, দুই সেমিস্টার সাময়িক বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। ওই সুপারিশগুলি আগামী কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, যাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই এখন জেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে কীসের ইঙ্গিত
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চার জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি ২৫ জন প্রাক্তনী, যাঁরা বর্তমানে হস্টেলে রয়েছে, তাঁদেরকেও বার করে দিতে হবে। উল্লেখ্য এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, কোনও প্রাক্তন পড়ুয়া আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে থাকতে পারবেন না। এছাড়াও হস্টেলের ঘরে ঘরে কর্তৃপক্ষকে তল্লাশি চালাতে হবে। কোনও প্রাক্তনীর হদিশ পেলে পত্রপাঠ তাঁকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের হস্টেল খালি করে দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন এক ছাত্রনেতা। কমিটির সুপারিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রনেতার গবেষণা সম্পূর্ণ হলে আর কোনও দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে হতে পারবেন না তিনি। সূত্রের খবর, ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। ক্যামেরাবন্দি হয় বয়ান, উত্তর নেওয়া হয় লিখিত আকারে। তার ভিত্তিতেই এই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।