কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University) ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে শনিবার লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিন দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল। শুধু সৌরভ নয় শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে এদিন রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ৯ অগাস্ট রাতে কী কী ঘটে ছিল তা জানতেই এদিন তাদের জেরা করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে তাঁদেরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
প্রথমবর্ষের ছাত্রের ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল,কেউ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে না সে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। ব়্যাগিং হয়েছে কি না জানতে তদন্তকারীরা মৃত পড়ুয়া ও ধৃতদের মোবাইলের চ্যাট হিস্টিও খতিয়ে দেখছে। যদিও এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবীর দাবি করেন, পুরোটাই ঘটনা পরিকল্পিত অপরাধ।পুলিশকে ঠিক বলতে হবে তা একসঙ্গে বসে ঠিক করেছিল ধৃতেরা। আগে থেকে প্ল্যান করেই সবটা করা হয়েছে। এমনকী নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পুলিশি জেরার তারা বারবার বয়ান বদল করেছে।শুক্রবার ধৃতদের হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেছেন পুলিশের অফিসাররা। পুলিশের অনুমান হস্টেলের প্রথম দিন থেকেই তার উপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়েছিল। ঘটনার পর হস্টেলে জিবি বৈঠক হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের জামাই কংগ্রেসে যোগ দিলেন
বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির সদস্যদের সামনে এসেছে একাধিক পড়ুয়ার জবানবন্দি। তার থেকেই উঠে এল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ঘটনার দিন সন্ধের পর থেকেই ওই পড়ুয়াকে মানসিকভাবে উত্যক্ত করে তোলা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত ১১টার পর ছাত্রটি এ টু ব্লকের বারান্দায় উঠেছিল। তখন তার পরনে ছিল একটি হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি। ছাত্রকে এতটাই উত্যক্ত করে তোলা হয়েছিল যে সে নিজেই তার জামাকাপড় খুলে দেয়। তদন্ত কমিটির সামনে অপর এক সিনিয়র আবাসিক জানিয়েছে, সে এতটাই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল যে নগ্ন হয়ে কার্যত দৌড়াদৌড়ি করছিল। তারপর সে বারান্দা থেকে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার সময় শরীরে কোন জামাকাপড় ছিল না।