হায়দরাবাদ: কেসিআরের দল ভাঙন। তেলঙ্গানার শাসকদল ভারত রাষ্ট্র সমিতির অন্তত এক ডজন প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক ও দলের পদাধিকারী সোমবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, এ বছরের শেষ নাগাদ তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কেসিআরের দলে এই ভাঙন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পাটনা বিজেপি বিরোধী জোটের মহাবৈঠকে ছিল না মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএস। তারা পৃথক রাস্তায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, পাটনায় বৈঠকে বসার আগে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস কর্মীদের এক সভায় বলেন, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটকের মতো তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোটের পর আর বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যেই লোকসভা ভোটের আগেই হতে চলা বিধানসভা ভোটগুলিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস। এদিন বিআরএসে বড়সড় ভাঙন তারই একটি বোড়ের চাল।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Governor | ভোটে যেখানে অশান্তি হবে, সেখানেই যাব, বিস্ফোরক রাজ্যপাল
কেসিআরের দলের প্রাক্তন সাংসদ পি শ্রীনিবাস রেড্ডি, প্রাক্তন মন্ত্রী জে কৃষ্ণ রাও, প্রাক্তন বিধায়ক পি বেঙ্কটেশ্বরালু, কোরাম কানাকাইয়া এবং কোটা রাম বাবু, বিআরএসের বিধান পরিষদীয় সদস্য নরসা রেড্ডির ছেলে রাকেশ রেড্ডি কংগ্রেসে যোগ দেন। উল্লেখ্য, পাটনা বৈঠককে শুক্রবারই বিরাট ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছিল দল। বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতির ব্যাখ্যায় কেসিআর বলেছিলেন, এই দলগুলি একজনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের শাসকদল এবং বিজেপি থেকে আরও বেশ কিছু নেতা শীঘ্রই তেরঙার পতাকাতলে শামিল হবে।