জলপাইগুড়ি: উপনির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেই ধূপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায় যোগদান করলেন পদ্মশিবিরে। গেরুয়া শিবিরের প্রতি ভালোবাসা না, তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভের কারণেই ঘাসফুল ছেড়ে তিনি পদ্মফুল হাতে নিয়েছেন বলে জানালেন মিতালি। রবিবার প্রচারের শেষ দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। তবে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতেই দলের অন্দরে বিক্ষোভ সরু হয়ে গিয়েছে। এদিন ধূপগুড়ি শহরে একটি বেসরকারি ভবনে সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে মিতালি বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই ওই ভবন থেকে বেরিয়ে যান বিজেপির ধূপগুড়ি শহর মণ্ডল সভাপতি শিব চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক পাপাই বসাক, পশ্চিম মণ্ডল সভাপতি কমলেশ সিংহ রায়, স্থানীয় বিজেপি নেতা মাধব রায় সহ অনেকে।
মাধব বলেন, মিতালির যোগদানের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। আমাদের অন্ধকারে রেখে তাঁকে যোগদান করানো হয়েছে। ধূপগুড়ির বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মিতালি তৃণমূলের টিকিটে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জেতেন। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির বিষ্ণু রায়ের কাছে হেরে যান। তারপর থেকে নানা কারণে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। এই উপনির্বাচনে মিতালি দলীয় প্রার্থী নির্মল রায়ের সমর্থনে প্রচারেও নামেননি। গত শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা জলপাইগুড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা অরূপ বিশ্বাস প্রচারে আসেন। তিনি মিতালির মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন। অরূপের কথায় মিতালি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও নামেন শুক্রবার। তাঁকে নিয়ে প্রচারে এসে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শনিবার শুভেন্দুর সেই কটাক্ষের জবাবও দেন মিতালি। তাঁর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রবিবার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সুকান্তর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেলন। প্রসঙ্গত, শনিবার অভিষেকের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মিতালিও। অভিষেককে উত্তরিও পরান তিনি ।
এদিন সংবাদমাধ্যমে দলত্যাগী প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০২১ বিধানসভা ভোটের পর থেকেই আমি ঘরে বসে ছিলাম। শনিবার অভিষেকের সভামঞ্চে আমার বেশ কিছু জিনিস ভালো লাগেনি। এমনকী দলের থেকে তাঁকে প্রচার করার জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলেও তাঁর অভিযোগ। মিতালি আরও জানান, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথায় গত দু’দিন তিনি প্রচারে নেমেছিলেন। তাঁর আরও দাবি, বিধায়ক থাকা কালীন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন কোনও দলের জন্য কাজ করেননি।