ঝালদা: ঝালদায় তপন কান্দুর ছেলে দেব কান্দুকে প্রাণে মারার হুমকির অভিযোগ তৃনমূল কর্মী ভীম তেওয়ারির বিরুদ্ধে। শনিবার বাজার করে ফেরার সময় দেব কান্দুকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তপন কান্দু খুনে মূল অভিযুক্ত ভীম তেওয়ারি। গত সপ্তাহেই তাঁকে অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে জেরা করে সিবিআই। এবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ দায়ের করল দেব কান্দুর পরিবার।
তপন কান্দুর পরিবার জানায়, শনিবার বাজার করে ফেরার সময় ছেলে দেব কান্দুর রাস্তা আটকায় ভীম তেওয়ারি। তপন কান্দুর খুনের তদন্তে এর আগে ভীমের নাম সামনে এনেছেন স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। লিখিত অভিযোগে ওই তৃণমূল কর্মীর নাম ছিল। গত সপ্তাহে ভীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এবার সেই কারণেই ছেলেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এমন হুঁশিয়ারিতে আতঙ্কে রয়েছেন কান্দু পরিবার।
ছেলে দেব কান্দু জানান, শনিবার রাস্তা আটকে ভীম তেওয়ারি হুঁশিয়ারি দেয়, ‘তপন শেষ। তপনের একটাই আছিস। তপন গেল, এরপর তুইও যাবি। আমাদের তোরা চিনিস না। সতর্ক হয়ে যা, নাহলে বিপদ রাখার জায়গা পাবি না।’ এই হুঁশিয়ারি পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেব কান্দু।
স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ, ওদের এত সাহস যে বাবার পর এবার ছেলেকে মারার পরিকল্পনা করছে। এই ঘটনার যথাযথ পুলিসি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন পূর্ণিমা।
আরও পড়ুন: AITC Fact Finding Delegation: প্রয়াগরাজে পৌঁছল তৃণমূলের সত্যসন্ধানী দল
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।