ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় (Jhalda Murder Case) গ্রেফতার দাদা নরেন কান্দু। কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা আশিফ খানকেও শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিটের আধিকারিকেরা দাবি করেন, আশিফ খানের বাড়িতে বসেই খুনের চক্রান্ত করেছিল অভিযুক্তরা। খুন করার পরও ওই গ্রামেই লুকিয়েছিল আততায়ীরা। সিটের আরও দাবি, তপন খুনের কিনারা (Tapan Kandu Murder Case) প্রায় হয়েই গিয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার চক্রান্ত করে দাদা নরেন কান্দু। কুটিডি গ্রামে আশিফ খানের বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছে পুলিস। রবিবার জেলা আদালতে তোলা হবে ধৃতদের।
শনিবার ধৃত তৃণমূল নেতা দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। টানা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে, মোটা টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছিল তপন কান্দুকে। রাজনীতিতে পারিবারিক অশান্তি জড়িয়ে যাওয়ার কারণেই যে খুন হয়েছেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor murder case), সিটের কাছে তা প্রায় স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কলেবর সিং নামে এক সন্দেহভাজনকে। তাকে জেরা করেই নরেনদের নাম জানতে পারে পুলিস।
তপন কান্দুর খুনের (Tapan Kandu ) ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হলেও খুশি নয় তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। এদিনও তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করে বলেন, আমাদের মূল অভিযোগ ঝালদা থানার ওসির বিরুদ্ধে। তিনি আজ পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছেন।