জয়রামবাটি: রীতি মেনেই কুমারী পুজো হল মা সারদা দেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটিতে। আর এবারের কুমারী পুজোয় কুমারী দেবী হলেন মা সারাদা দেবীর বংশধর ছোট্ট আরুশি মুখোপাধ্যায়। সকাল থেকেই সেই কুমারী দেবীরূপে ছোট্ট আরুশিকে দেখতে আশ্রম প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
মা সারদার জন্মভিটে জয়রামবাটিতে দুর্গাপুজা শুরু হয়েছিল ১৯২৫ সালে। নাটমন্দিরে ঘটে শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। তারপর ৭বছর পর নাটমন্দিরের পাশে মন্ডপ নির্মান করে প্রতিমা গড়ে দুর্গাপুজা শুরু হয়।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য নাটমন্দিরে এবার পুজোর আয়োজন করা হয়। ভোর সাড়ে ৪ টায় মঙ্গল আরতি এবং ভোর ৫.৪০ নাগাদ শুরু হয় মহাষ্টমীর পুজো। তিথি মেনেই মহাষ্টমীতে সকাল ৯ টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। এবার কুমারী রূপে পুজা করা হল আরুশি মুখোপাধ্যায় নামে কুমারীকে। বছর পাঁচেকের নাবালিকা আরুশি মা সারদা দেবীর বংশধর।
এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ মাতৃমন্দিরের গেস্ট হাউস থেকে কুমারীকে সাজিয়ে বাদ্য যন্ত্র সহকারে নিয়ে আসা নাটমন্দিরে সেখানে মন্ত্রউচ্চারনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কুমারী পুজো। জয়রামবাটির পুজো মানেই একটা আলাদা আবেগ। মায়ের জন্মভিটেতে আর এক মায়ের আরাধনা দেখতে হাজির হন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা। বিশেষ করে কুমারী পুজো দেখতে জয়রামবাটিতে বেশী ভক্ত হাজির হন। তবে কোভিড বিধি মেনেই সিমিত সময়ের জন্য এখানকার পুজো উপভোগ করলেন ভক্তরা। এখানকার পুজো মানেই নিষ্ঠা ও ভক্তি। ভক্তরা জানালেন মায়ের কাছে এসে পুজো দেখে মন আনন্দে ভরে উঠল।