কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Jadavpur University) হস্টেলের বারান্দায় টবেই চলত গাঁজার চাষ। হ্যাঁ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মদ-গাঁজা খাওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যাদবপুরের মতো পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী ভাবে নজর এড়িয়ে এই কাজ চলত প্রশ্ন উঠেছে। অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত নজরদারির। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর পর থেকে তদন্তের উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল যাদবপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, গাঁজার চাষ হত মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে পাওয়া ছবি থেকেই জানা গিয়েছে গাঁজা চাষের খবর।
যাদবপুর মানেই কৃতী ছাত্রছাত্রী। এই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় গতি আনতে, নয়া চিন্তা উদ্ভাবন করতে দিত গাঁজায় টান। রোজ রোজ হস্টেলের বাইরে থেকে দাঁজা কিনতে যাওয়া সম্ভব নয় তাই মেন হস্টেলে বারান্দায় টবেই চলত গাঁজার চাষ। যদিও ছাত্রের মৃত্যুর পর ধরা পরার ভয়ে সেই টবগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের ফোনে তোলাও ছিল সেই টবে গাঁজা চাষের ছবি। সম্প্রতি ওই টব ও চাষ করা গাঁজার সন্ধানে হস্টেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, গাঁজা চাষের ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করা হয়েছিল। তদন্তের সময় ডেটা রিকভারিতে মেলে তথ্য।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল
সূত্রের খবর, ধৃত প্রাক্তনী ও হস্টেলের আবাসিকদের হোয়াটস অ্যাপে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিল। তাতে বিভিন্ন ধরনের ছবি ও মেসেজের আদানপ্রদান হত। ছাত্রের মৃত্যুর পর ওই গ্রুপে বহু মেসেজ ও ছবির আদানপ্রদান হয়। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে সব চ্যাট মুছে ফেলতে বলা হয় ওই রাতে জিবির বৈঠকে। ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে ডেটা রিকভারিতে করে পুলিশ। তাতেই কয়েকটি ছবি পুলিশের হাতে আসে। দেখা যায়, টবে হচ্ছে গাঁজা চাষ। পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই সৌরভ সহ ঋ-তদের নির্দেশেই ওই টবগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। তল্লাশি চালিয়েও ওই গাঁজার গাছ বা টব উদ্ধার হয়নি। যদিও সেই গাছ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।