কলকাতা: আজ বৃহস্পতিবার যাদবপুরে আসছে না ইসরোর (ISRO) প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল ইসরোর প্রতিনিধি দলের ৷ তবে এখনই তারা আসছেন না বলে জানালেন নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ৷ ইসরোর কাছে সাতদিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার জন্য ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose)। এরপর ইসরোর প্রতিনিধির আসার কথা বলেছিলেন। ক্যাম্পাস পরিদর্শনের কথা জানিয়েছিল ইসরো।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) র্যাগিং বন্ধ করার জন্য কুইক রেপন্স টিম গঠন ও সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রমৃত্যুতে উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে। ক্যাম্পাস ও হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হস্টেলেও নিরাপত্তার ব়্যাগিং রুখতে চলেছে সিসিটিভি। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ইসরোকে বলেছি আমাদের কী কী -র প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার জন্য এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরোর প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেনা প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: নবগ্রাম থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু, মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
এ প্রসঙ্গে যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব নথি প্রয়োজন ছিল সেই সব এখনও উপাচার্যের হাতে এসে পৌঁছয়নি। সম্পূর্ণ নথি জোগাড় করতে লাগবে সে কিছুদিন। তাই ইসরোর কাছে সাতদিনের মতো সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে ইসরোর প্রতিনিধি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে পারেন। নজরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। সূত্রের খবর, ইসরোর প্রতিনিধি দল পরিদর্শেনর সময় দেখবে ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং এর মতো প্রযুক্তি যাদবপুরে কাজ করবে কি না?কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও হতে পারে মিটিং। শুধু তাই নয়, হস্টেলেও যেতে পারে ইসরোর দল।