কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আসছে ইসরোর (ISRO) প্রতিনিধিদল। ঘুরে দেখবেন ক্যাম্পাস। সূত্রের খবর, ৩১ ও ১ তারিখের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনের কথা জানিয়েছিল ইসরো। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার জন্য ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। এরপর ইসরোর প্রতিনিধির আসার কথা বলেছিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাস ও হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রমৃত্যুতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন। ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হস্টেলেও নিরাপত্তার ব়্যাগিং রুখতে চলেছে সিসিটিভও। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেশা ও মাদকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে নারকটিক্স ডিটেক্টর ও অ্যালকোহল ডিটেক্টর বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্থাযী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ব়্যাগিং রুখতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
আরও পড়ুন: মেট্রো শহরে কমল পেট্রল দাম! জানেন আজ কলকাতায় কত?
এ শুধু যাদবপুর পর, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি তৎপর হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ইসরোকে বলেছি আমাদের কী কী -র প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্রের খবর, ইসরোর প্রতিনিধি দল পরিদর্শেনর সময় দেখবে ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং এর মতো প্রযুক্তি যাদবপুরে কাজ করবে কি না?কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও হতে পারে মিটিং। শুধু তাই নয়, হস্টেলেও যেতে পারে ইসরোর দল। আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়ে পরিদর্শনের জন্য ৩১ ও ১ তারিখের কথা জানিয়েছিল ইসরো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, ৩১ আগস্ট প্রতিনিধি দল এলে কোনও সমস্যা নেই। তবে ১ সেপ্টেম্বর কিছু সমস্যা রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও ইসরোর কোনও উত্তর মেলেনি বলেই খবর।