কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে তোলা হয়েছিল আলিপুর আদালতে। ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র ইউনিয়নকে (Student Union) পার্টি করা হল।
সৌরভের কেস ডায়েরি আজ আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। কেস ডায়েরিতে একটি রক্ত মাখা গামছার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে ওই গামছা দিয়ে ওই ছাত্রকে ঢেকে যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ৯ অগাস্ট ঘটনার পর একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করা হয়েছিল হস্টেলের আবাসিকদের। যে দুটো মোবাইলে ওই চ্যাট হয়েছিল তার ডেটা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ওই ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভ সেই গ্রুপেই নানা ইনস্ট্রাকশন দিতেন।
আরও পড়ুন: এবিভিপির যাদবপুর বাঁচাও মিছিল,পুলিশের সঙ্গে বচসা সমর্থকদের
সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদারের দাবি, ছাত্রমৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। হস্টেলে সৌরভ থাকেন কি না, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কী বলা হবে, তাও সেই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সৌরভকে যাতে পুলিশ জেলে গিয়ে জেরা করতে পারে, আদালতের কাছে এদিন সেই আবেদনও করা হয়েছে।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম সৌরভকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ। এদিন সৌরভের আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের যেন কোনও দাগী আসামীর সঙ্গে না রাখা হয়। সেই আবেদন বিচারক খারিজ করে দেন।
এই ঘটনায় শুক্রবার যাদবপুর-কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আরও চার আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁরা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন।মেন হস্টেলের যে তলায় ওই ঘটনা ঘটে, তার ওপরের তলায় থাকেন ওই চার পড়ুয়া। পাশাপাশি, হস্টেলের ঘটনায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র ইউনিয়নকে (Student Union) পার্টি করে নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।