কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসিটিভি বসানো নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানালেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ( JU Registrar Sneha Manju Basu )। তিনি বলেন, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উচ্চশিক্ষা দফতরকে যে আবেদন পাঠানো হয়েছিল তাতে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল বলে জানানো হয়েছিল। আমরা ওয়েবেলকে দিয়েই কাজটি করাব। মঙ্গলবার যখন ক্যাম্পাসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee) এসেছিল তখন তাদের সেই সমস্যার কথা জানানো হয়। তারা বলেছিল নতুন করে আবেদন পাঠাতে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রার আরও বলেন , রাজ্যের তৈরি তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গত পাঁচ বছরের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তাদের নির্দেশমতো সাতদিনের মধ্যেই বিস্তারিত রির্পোট পাঠানো হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পড়ুয়ার অস্বাবাবিক মৃত্যু পরই র্যাগিং-তত্ত্ব উঠেছে। তদন্ত যত এগিয়েছে তা যত জোরালো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee)। রাজ্যের তৈরি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় তদন্তের জন্য যায়। গত পাঁচ বছরের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।সেই রির্পোটে চাওয়া হয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন অর্থাৎ পড়ুয়া ভর্তি, অ্যান্টি ব়্যাগিং সংক্রান্ত কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল বা হয়েছে। কোনও ব়্যাগিং এর ঘটনা ওই পাঁচ বছরের মধ্যে ঘটেছিল কিনা? এই যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত রিপোর্ট আকারে পাঠাতে হচ্ছে। তাই তারা যে ৭ দিন সময় দিয়েছেন সেই ৭ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট ফ্যাট ফাইন্ডিং কমিটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসু।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নোটিস পুরসভাগুলিকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাগি রুখতেই ইতিমধ্যেই সিসিটিভি বসানোর কথা বলেছেন উপাচার্য। সিসিটিভি বসানোর জন্য ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। বুধবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই অর্থ মঞ্জুরির বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলকাতা টিভিকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ রাজ্য সরকারকে এই আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে ইসরোর দল। এর আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তারপরই ইসরোর দলের আসার কথা হয়েছিল। আগামিকাল তারা আসতে পারে যাদবপুরে তেমনটাই জল্পনা।