নয়াদিল্লি: আগামিকাল, সোমবার সংসদে আসতে পারেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এখনও রাহুলের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা করছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। ফলে লোকসভার সচিবালয় রাহুল গান্ধীকে পুনর্বহালের ঘোষণা করুক, না করুক, সোমবার সংসদে আসবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এমনটাই গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজধানীর অন্দরে। আর যদি পুনর্বহালের নির্দেশ ছাড়াই লোকসভায় ঢোকার চেষ্টা করেন সোনিয়া-পুত্র তাহলে ভিতরের মতোই বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে শাসক-বিরোধী উত্তাপ। অবশ্য রাহুলে সংসদে প্রবেশের ব্যাপারে কংগ্রেসের তরফে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল।
সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এখনও রাহুল গান্ধীকে সদস্যপদে পুনর্বহাল করেননি। তাতে বেজায় ক্ষিপ্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব। বেণুগোপাল জানান, দল সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপরই পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু, রাজনৈতিক মহলে চাউর হয়ে গিয়েছে যে, সোমবারই রাহুল গান্ধীকে সংসদে প্রবেশের চেষ্টা করানো হবে। কেননা, এ বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল। ফলে রাহুল এলে যথেষ্ট হইহল্লা হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ওরা কিছু করে না, অন্যকেও করতে দেয় না, কংগ্রেসসহ বিরোধীদের তুলোধনা মোদির
বেণুগোপাল বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। যার ফলে আগের সমস্ত রায় বাতিল হয়ে গিয়েছে। এরপর রাহুল গান্ধী নিজে স্পিকারের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁকে যে আইনের বলে বরখাস্ত করা হয়েছিল, সেভাবে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নিয়মকানুন সম্পূর্ণ করার আর্জি জানান। কিন্তু, স্পিকার তাঁকে সময় দিতে অস্বীকার করেন এবং রাহুলকে তাঁর সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন, দাবি বেণুগোপালের।
বেণুগোপালের আরও অভিযোগ, রাহুলকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে অতি সক্রিয় ছিল লোকসভা সচিবালয়। শুধু তাই নয়, তাঁর সরকারি বাসভবন থেকেও তাঁকে সাত তাড়াতাড়ি বিতাড়িত করা হয়। কিন্তু এখন সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে কোনও নড়াচড়াই চোখে পড়ছে না। আসলে রাহুল গান্ধী লোকসভায় পাছে কিছু বলেন, তা নিয়েই শঙ্কিত বিজেপি। মোদি যদি রাহুলকে সত্যি ভয় পান, তাহলে স্পষ্ট করে বলুন সেকথা! বলেন বেণুগোপাল।