কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) রাজীব সিনহা’র (Rajib Sinha) জয়েনিং লেটার রাজ্যপাল ফিরিয়ে দেওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকালও রাতের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রটে যায়, রাজীব সিনহা ইস্তফা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এই দিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, রাজীব সিনহা ইস্তফা দিয়েছেন বলে আমার কাছে কোনও খবর নেই। কমিশনার তাঁর মতো কাজ করবেন।আমরা আমাদের কাজ করব।
বিরোধীদের মেগা বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাটনা যাওয়ার পথে এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে এই ভাবে সরানো যায় না। তাঁকে ইমপিচ করতে হয় নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে। তাঁর দাবি, এমন ঘটনা রাজ্যে আগে কখনও ঘটেনি। কমিশনারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপালই। কমিশনারকে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাঁর জয়েনিং লেটার রাজ্যপাল ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমন খবরও তাঁর কাছে নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Panchayat Election | যত পারে বাহিনী দিক, আমরা লড়ে নেব, চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ জুন হাইকোর্ট রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। তারা সেই নির্দেশই বহাল রাখে। তারপরই কমিশন প্রতি জেলার জন্য একটি করে মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহি্নী চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। তাতে আরও চটে যায় হাইকোর্ট। তারা বলে, প্রায় ৭০ হাজার বুথের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী একেবারেই পর্যাপ্ত নয়।
শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও বেশি পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবারের ভোট করাতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনারকে প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্দেশ না মানতে পারলে ছেড়ে দিন। রাজ্যপাল অন্য কাউকে নিয়োগ করবেন।