কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েলি হানায় ৬ শিশুসহ প্রায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। প্যালেস্তানীয় ইসলামিক জিহাদ (PIJ) গোষ্ঠীও তাদের এক পদস্থ কমান্ডারের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েছে। মূলত তাকে লক্ষ্য করেই মুহুর্মুহু রকেট ছোড়ে ইজরায়েলি বাহিনী। রবিবার পিআইজে বলেছে, আল কাদস ব্রিগেড বা জেরুজালেম ব্রিগেড নামে পরিচিত সশস্ত্র বাহিনী তাদের নেতা খালিদ মানসৌরের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। মানসৌর গাজা এলাকার দক্ষিণ উপকূলীয় কমান্ডার ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিলেন। শনিবার ইজরায়েলি বিমান হানায় তাঁর মৃত্যুর খবর মেনে নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে জিহাদি গোষ্ঠী।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইজরায়েলের এই পর্বের হানাদারিতে এই এলাকার সবথেকে বড় জঙ্গিদল, যাদের দখলে রয়েছে গাজা, সেই হামাস কিন্তু চুপ রয়েছে। জিহাদিদের সঙ্গে সংঘর্ষে তারা এখনও মৌন অবলম্বন করায় বিভিন্ন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেক মনে করছেন, ইজরায়েল গাজার কতখানি ক্ষতি করে, তার জল মাপছে হামাস। কারণ, ইজরায়েলের বিমান ও রকেট হানা রবিবারেও বন্ধ হয়নি। তবে সব পক্ষই এ ব্যাপারে একমত যে, জিহাদি গোষ্ঠীর কমান্ডার খালিদ মানসৌরকে খতম করার লক্ষ্যেই এই হানা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ISRO AzadiSAT: ৭৫০টি গ্রামীণ স্কুলের ছাত্রীদের তৈরি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ইসরোর, শুরুতে সামান্য বিভ্রাট
যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৬টি শিশু ও ২ জন মহিলা রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোমা বর্ষণে অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। ইজরায়েল সাধারণ মানুষ ও জঙ্গিদের মধ্যে তফাত দেখছে না বলে অভিযোগ তাদের। ইজরায়েলের একতরফা হানায় গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই গরমে সাধারণ মানুষকে দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
রবিবার দিনটি হচ্ছে সবথেকে বিপজ্জনক। কারণ এদিনই ইহুদিরা তিশা ইয়েভ নামে একটি পার্বণ পালন করে। তাদের ধর্মীয় একটি মন্দির ধ্বংসের দিন হিসেবে গোটা দিন উপবাস করে একটি পাহাড়ের চূড়ায় যায় হাজার হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন গণমান্য মন্ত্রী ও ব্যক্তিরাও। সে কারণে ফের যুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়া নিয়ে অনেকেই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।