কলকাতা: টস যে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে তা হয়তো বাংলা (Bengal) কিংবা সৌরাষ্ট্র (Saurashtra) কোনও শিবিরই ভাবেনি। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সবুজ পিচ বানানো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রথম দিনের প্রথম সেশনে পেস বোলাররা যেমন সহায়তা পেয়েছেন তা কিন্তু আর নেই। প্রথম দিন সকালে পিচে যে ভেজা ভাব ছিল দ্বিতীয় দিনের সকালে তা অনেকটাই কম ছিল। প্রথমদিনের পিচের গাঢ় রং দ্বিতীয় দিনে সাদাটে হয়ে এসেছে। বেলা যত গড়িয়েছে তত পাটা হয়ে উঠেছে উইকেট। তারই ফলস্বরূপ দ্বিতীয় দিনের শেষে মাত্র পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান করেছে সৌরাষ্ট্র। লিড এখনই ১৪৩ রানের।
কর্নাটকের (Karnataka) বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দ্বিশতরান করা অর্পিত বাসভারা (১৫৫ বলে ৮১*) সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছেন। সেট হয়ে গিয়েছেন চিরাগ জানিও (১০০ বলে ৫৭*)। পরিস্থিতি যেদিকে আঙুল দেখাচ্ছে তাতে বাংলার রঞ্জি জয়ের ৩৩ বছরের অপেক্ষা অপেক্ষাই থেকে যাবে।
একেবারেই কি আশা নেই?
আরও পড়ুন: IND vs AUS: অস্ট্রেলিয়া অল আউট, স্কোরবোর্ডে রান, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা ভারতেরই
আছে, এ ম্যাচের এখনও তিনদিন বাকি, বাকি অনেক ক্রিকেট খেলা। কিন্তু তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে মনোজ তিওয়ারিদের (Manoj Tiwary)। সবার প্রথম কাজ, সৌরাষ্ট্রের লিড যেন ২০০ না পেরোয়। অর্থাৎ আর ৫০-৬০ রানের মধ্যে বাকি পাঁচ উইকেট ফেলতে হবে এবং প্রথম সেশনের মধ্যেই। এ কাজ কঠিন বললে কম বলা হবে। এটা যদি সম্ভব হয়ও, তারপরেও কাজ বাকি। এবার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের। তৃতীয় ইনিংসে অন্তত ৪৫০ রান করতে হবে বাংলাকে। একমাত্র তাহলেই চতুর্থ ইনিংসে সৌরাষ্ট্রের ব্যাটারদের চাপে ফেলা যাবে।
চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে বল কিছুটা ঘুরবে। বাংলার হাতে এক শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) ছাড়া ভালো স্পিনার নেই। অনুষ্টুপ মজুমদার লেগ স্পিন করেন তাও অনিয়মিত। তাই সৌরাষ্ট্রের ১০ উইকেট তোলার দায়িত্ব শেষমেশ পেসারদেরই নিতে হবে। তবে এসবই গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল গোছের ব্যাপার। এখনও পর্যন্ত অন্ধকারেই আছে বাংলা।