কলকাতা: এসএসসির গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ (SSC Group D Workers Recruitment) নিয়ে ফের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর (Justice Biswajit Basu) নির্দেশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৪৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রকাশ করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (School Service Commission) বিচারপতির প্রশ্ন, এই কর্মীদের যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য তারা কতটা প্রস্তুত। তিনি বলেন, কর্মী না থাকলে স্কুল চালানো সমস্যা হবে। কেন যে কমিশন নিজে থেকে তাঁদের সরাতে পদক্ষেপ করছে না, বোঝা যাচ্ছে না।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, সিবিআই এই বিতর্কিত নিয়োগ পাওয়াদের ধরে সোজা জিজ্ঞাসা করুক, কাকে বা কাদের টাকা দিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এটা ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি। পড়ুয়াদের কথা না ভেবে এই ভাবে সব চাকরি পাচ্ছেন। আবার বড় বড় কথা বলছেন। তিনি বলেন, কাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তা সিবিআইকে (CBI) জানতেই হবে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: তৃণমূল ছাত্রনেতা গ্রেফতার হয়নি কেন, ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশকে তোপ বিচারপতির
এর আগে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দিলেও ওএমআর শিট আপলোড করেনি কমিশন। তা নিয়ে দ্বিতীয়বার তা আপলোড (Upload) করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। প্রসঙ্গত, এই শিটগুলিই সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছে। গাজিয়াবাদ এবং কমিশন দফতরের সার্ভারে ওএমআর শিটের নম্বরে অনেক ফারাক ধরা পড়েছে। তা নিয়েও আদালত বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিনই আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে বিধাননগরে বিক্ষোভ দেখান। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ার পথে তাঁদের মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিলকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি চলে। পরে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে তাঁদের ভ্যানে তোলে। অনেককে আটক করে বিভিন্ন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের আন্দোলন চলবে। প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনও সংগঠন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, কোনও সংগঠন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান করছেন।