কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সাত হাজার নব্বই কোটি টাকা। একের পর কটা কটা শূন্য বসালে কোটি হয় একবার গুনে দেখুন। তারপর সেখানে আরও তিনটে শূন্য জুড়ে দিন। এই এতো গুলো শূন্য দিয়ে তৈরি মোটা টাকার অংকে লখনউয়ের আইপিএল টিম কিনেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আর তারপরেই হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এতো কোটি টাকার বিনিয়োগ করে শেষে ফল পাবেন তো সঞ্জীব? সাত হাজার কোটির জুয়া খেলেছেন সঞ্জীব, এরপর?
ধরে নেওয়াই যায় যে সামনের বছর আইপিএল আরও জমজমাট হবে। ভেনু নিশ্চয়ই ভারত থেকে সরবে না। তার উপর আরও নতুন দুটো দল। লখনউ আর আমেদাবাদ। সব মিলিয়ে দশ দলের চ্যালেঞ্জ। এই দুই নতুন দল যে আসছেই তা একরকম স্থির ছিল। কিন্তু চমক হচ্ছে দুই দলের মালিক আর আর দল কেনার টাকার অংক।
আরও পড়ুন-মাদক মামলায় কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন এনসিবি কর্তা? বিভাগীয় তদন্ত নামল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো
মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়াতে চর্চা ছিলই, আমেদাবাদ টিম কিনবে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপের ঘরের টিম আমেদাবাদ। বিডিং বা নিলামের সেই চর্চা স্বাভাবিক ভাবেই মিলে গিয়েছে। আদানিদের ঝুলিতেই গিয়েছে আমেদাবাদ দল। একেবারে অবিশ্বাস্য চমক, যাকে এক কথায় বলে ঝটকা। সেটা এল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা আরপিএসজি গ্রুপের থেকে। কোটাক, আদানি, টরেন্ট ফার্মার মত বড় বড় সংস্থাকে হারিয়ে ফিনিশিং পয়েন্টে গোয়েঙ্কার আরপিএসজি। মোটা টাকায় লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি সঞ্জীবের পকেটে। এ বার প্রশ্ন উত্তর প্রদেশে কি তেমন করে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আছে? কানপুরে একমাত্র ক্রিকেট ইতিহাস কিছু আছে। বরাবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ করার সুযোগ পেয়েছে কানপুর। আর রাজধানী লখনউয়ের যদি বাজার ধরা হয় তা হলে সেটা যে কোনও মেট্রো শহর থেকেই অনেকটা কম।
আরও পড়ুন-এশিয়ার সবচেয়ে গভীর হাওড়া মেট্রো স্টেশনের ফিনিশিং টাচ চলছে
নিলামে সঞ্জীব গোয়ঙ্কার দরের ধারকাছে ছিল না অন্য কোনও সংস্থা। প্রায় দু-হাজার কোটি টাকা বেশি অংকের দর হাঁকে আরপিএসজি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এই বিনিয়োগ বিফলে যাবে না তো? সঞ্জীবের বড় ভাই হর্ষ গোয়েঙ্কাও এ সব দেখে টুইট করে ফেলেছেন। হিসেব কষে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি নতুন টিম কিনতে বিনিয়োগ করেননি। আশা করা যায় সঞ্জীব তাঁর বড় ভাইয়ের বক্তব্য ভুল প্রমাণ করে ছাড়বেন।