মূলত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা একটিই, আর সেটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এর বাইরে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ত্রিপুরা (Tripura), অসমের (Assam) বরাক উপত্যকার অন্যতম ভাষা বাংলা। সেই হিসেবে এদেশে বাংলা একটি আঞ্চলিক ভাষা। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে একমাত্র পশ্চিম আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের ছোট্ট দেশ সিয়েরা লিওনে (Sierra Leone) বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট বাংলাকে স্বীকৃতির একটি বিল পাশ করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক আন্তর্জাতিক মর্যাদা।
এই মুহূর্তে পৃথিবীর ৩০টি দেশের ১০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ। সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পড়ুয়া বাংলা ভাষা শিক্ষা ও গবেষণার কাজ করছে। এছাড়া চীনা ভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলির ৩৩ খণ্ডের অনুবাদ এবং লালনের গান ও দর্শন ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: International Mother Language Day: বাংলাদেশের কাব্য-সাহিত্যে অমর একুশে, সচেতনতার অমর দলিল
বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পর ব্রিটেন ও আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়ে থাকে। এর বাইরে চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে। আমেরিকায় কমপক্ষে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও এশীয় গবেষণা কেন্দ্রে বাংলা ভাষার চর্চা হচ্ছে। এর মধ্যে নিউইর্য়ক, শিকাগো, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া উল্লেখযোগ্য।
বিশ্বের ছটি দেশের সরকারি রেডিওতে বাংলা ভাষার আলাদা চ্যানেল রয়েছে। আরও ১০টি দেশের রেডিওতে বাংলা ভাষার আলাদা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। ব্রিটেনে ছটি ও আমেরিকায় ১০টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন ও বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। ব্রিটেনে তো ১২টি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হয়। ‘বেতার বাংলা’ নামে সেখানে একটি বাংলা রেডিও স্টেশন রয়েছে।
ইউরোপের ইতালিতে বর্তমানে পাঁচটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা এবং রোম ও ভেনিস শহর থেকে তিনটি রেডিও স্টেশন পরিচালিত হচ্ছে। ইতালি থেকে ছটি অনলাইন টেলিভিশন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে শতাধিক ফেসবুক চ্যানেল চালু রয়েছে। এছাড়া ডেনমার্ক সুইডেনসহ ইউরোপের ৮টি দেশ এবং আরবের ৬টি দেশ থেকে বাংলা ভাষার মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
● সময়ের হেরফেরে সংখ্যাগুলির তারতম্য ঘটতে পারে।