কলকাতা: গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেন হস্টেলে ব়্যাগিং (Ragging) হয়েছিল। ছাত্রমৃত্যুতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির (Internal Committee) রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুক্রবার আভ্যন্তরীন কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ারা মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়ের রয়েছে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি। এর আগে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলও জানিয়েছিল, যাদবপুরে ওই রাতে র্যাগিং হয়েছিল তার প্রামণ পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে প্রায় র্যাগিং হয়। ব়্যাগিং রুখতে কর্তৃপক্ষের ষে গাফিলতি রয়েছে তাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে তদন্ত কমিটি। বয়ান রেকর্ড করার সময় তা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, উত্তর নেওয়া হয়েছে লিখিত আকারেও। অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট এদিন উপাচার্যর কাছে পাঠানো হয়েছে। সূত্রে খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, কী ভাবে ওই ছাত্র পড়ে গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। তবে র্যাগিংয়ের ঘটনায় যাঁদের অভিযুক্ত বলে মনে হয়েছে আভ্যন্তরীন কমিটির তাঁদের অনেকেই এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত সৌরভের
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দোষী বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন কমিটির তদন্তকারীরাও। এই ঘটনায় শুক্রবার ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে তোলা হয়েছিল আলিপুর আদালতে। ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। হস্টেলে সৌরভ থাকেন কি না, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কী বলা হবে, তাও সেই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।