ভ্যাকসিন প্রতারণা কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। তদন্তে নেমে এই কাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কসবা ছাড়াও উত্তর কলকাতার একটি কলেজে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন দেবাঞ্জন। অব্যবহৃত যে ভ্যাকসিন পুলিশ ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করেছে সেগুলোর অবশ্য মেয়াদ পেরিয়ে যায়নি।
তদন্তকারীরা দেবাঞ্জনবাবুর জানতে চান, কোথা থেকে এবং কীভাবে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছিলেন দেবাঞ্জন? ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে কীভাবে লোকজন এসেছিল? কারা ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল? টাকার জোগান কোথা থেকে হচ্ছিল? এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জানান, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত মিলিয়ে প্রায় ২০০ ভায়াল ভ্যাকসিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন উদ্ধার হয়নি। তবে ভ্যাকসিনগুলি আসল কি না, তা জানতে তার নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার কসবার ইউকো ব্যাঙ্ক বিল্ডিংয়ে দেবাঞ্জন দেবের উদ্যোগে আয়োজিত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।