উৎসবের মরসুমে বিপত্তি। দীপাবলির পরের দিনই হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন। ইউজাররা মেসেজ (message) পাঠাতে (send) এবং রিসিভ (receive) করতে পারছেন না। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস (Instant Messaging Service) একেবারে ডাউন না হলেও পার্শিয়ালি ডাউন অর্থাৎ আংশিকভাবে অকেজ হয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। আর তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন কোটি কোটি ইউজার। যদিও হোয়াটসঅ্যাপের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা তরফে প্রাথমিক অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি এ প্রসঙ্গে। পরে জানা যায় সমস্যাটা শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হয়েছে। দুপুর ১২টা ৩১ মিনিট থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হওয়ার পর ইউজাররা যে সমস্যা পড়েন, তাতে চিন্তিত মেটা পরের দিকে দুঃখপ্রকাশ করে।
শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররাই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট (Micro-blogging Website) টুইটারে (Twitter) এসে লোকজন অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন নিয়ে টুইটারে মিমের (Meme) বন্যা বইছে। অনেকে আবার রসিকতা করে এটাও লিখেছেন, লোকজন টুইটারে এসে যাচাই করে দেখে নিচ্ছেন হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন (WhatsApp Down) কিনা!
মঙ্গলবার ভারতে দীপাবলি (Deepawali) উৎসব ছিল। ছুটির পর্ব এখনও শেষ হয়নি। ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে খুশির পর্ব। বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-পরিজনদের লোকজন শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এই অবস্থায় মঙ্গবার দুপুরে আচমকা হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হয়ে পড়ায় বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি লোকজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন যাবতীয় মেসেজ পাঠানোর জন্য। এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস শুরু থেকে ভারতে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভারতে প্রতি মাসে ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার (Active User) হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।
উল্লেখ্য, মেটা পরিচালিত কোনও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এই প্রথম ডাউন হওয়া নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ইউজাররা। হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াও ফটো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম (Instgram) এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক (Facebook) মেটার অধীনস্থ। এই দুই প্ল্যাটফর্মও মাঝেমধ্যে সার্ভার এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হয়।