নয়াদিল্লি: পাটনা, বেঙ্গালুরু পর এবার মুম্বই। আগামী ২৫-২৬ অগাস্ট বাণিজ্যনগরীতে বসতে চলেছে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। বেঙ্গালুরু থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল পরবর্তী বৈঠকের স্থান। কিন্তু দিনক্ষণ জানানো হয়নি। এবারের বৈঠকের আলোচ্যসূচি হতে চলেছে, অভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এও বলেছিলেন যে, ১১ সদস্যের একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠিত হবে মুম্বইয়ে।
মুম্বইয়ের এই বৈঠকের আয়োজক হিসেবে যৌথভাবে কাজ করবে উদ্ধব-সেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী। কংগ্রেস পিছন থেকে সহযোগী হিসেবে থাকবে। উল্লেখ্য, এর আগে পাটনা মন্ত্রণার আমন্ত্রক নীতীশ কুমার ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়েছিল কংগ্রেসের আহ্বানে সদ্য ক্ষমতায় আসা কর্নাটকে। কিন্তু তৃতীয় বৈঠকটি এমন রাজ্যে হচ্ছে, যেখানে সদস্য দলের কেউই ক্ষমতায় নেই।
আরও পড়ুন: NDA Meet | বিরোধীদের মোকাবিলায় এনডিএকে মজবুত করার রণকৌশল মোদির
গত বেঙ্গালুরু বৈঠকের শেষে কংগ্রেস সভাপতি জোটের নতুন নামকরণের কথা ঘোষণা করে বলেন, নয়া এই জোটের নাম হল আইএনডিআইএ। এরপর মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে যে বৈঠক হবে সেখানে কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সের পরবর্তী বৈঠক বসবে মুম্বইয়ে জানান খাড়্গে। সেখানে ১১ সদস্যের কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি পরবর্তী বৈঠকের দিন স্থির করবে। এছাড়াও একটি সম্পাদকস্তরের কমিটি গঠিত হবে।
খাড়্গে আরও বলেন, ২৬টি দলের যে জোট হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। এদিনই এনডিএ-র যে বৈঠক হতে চলেছে তাকেও কটাক্ষ করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ওরা ৩০ দলের বৈঠকে বসতে চলেছে। জানি না, ওরা এতগুলি দল কোথা থেকে পেল। আসলে বিরোধী দলদের দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভয় পেয়েছেন।
সম্প্রতি মণিপুর নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, তখন মুম্বইয়েও এনিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। গতকালও সংসদের দুই কক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে মণিপুর নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শের জন্যই মণিপুর জ্বলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অভিযোগের জবাব দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার রাজ্যসভায় স্মৃতি বলেন, রাহুল গান্ধীই মণিপুরে আগুন জ্বেলেছেন। তার পাল্টা বৃহস্পতিবার রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের জন্য কী করেছেন। তাঁর নীতির কারণেই আজ জ্বলছে মণিপুর। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া এক ভিডিওতে রাহুল বলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে কিছু বলছেন না। মণিপুর নিয়ে মোদিজি কিছু করেননি বলেই আজ এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে, অভিযোগ রাহুলের।
এদিকে, মণিপুর ইস্যুতে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সংসদ চত্বরে তিনি বলেন, সংসদের বাইরে রাজনৈতিক ভাষণ দিতে পারছেন উনি। কিন্তু সংসদে বিবৃতি না দিয়ে গণতন্ত্রের সম্মান খর্ব করছেন। সংসদীয় ইতিহাসে এর থেকে অন্ধকার পর্ব আর কোনওদিন দেখেনি দেশের মানুষ। গত ৮৫ দিন ধরে একটা রাজ্য জ্বলছে। কিন্তু, কেন্দ্র তাকিয়ে দেখছে না। এটা মানবিকতার প্রতি লজ্জা।