ভারত–০ লেবানন–০
আন্তঃমহাদেশীয় কাপের ফাইনালে উঠল ভারত ও লেবানন। বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটির আগে দিনের প্রথম ম্যাচে ভানুয়াতু ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল মঙ্গোলিয়াকে। তখনই ঠিক হয়ে যায় লেবানন যদি ভারতের কাছে হারলেও তাদের ফাইনালে যাওয়া আটকাবে না। আর ভারত তো আগেই ফাইনালে চলে গিয়েছিল। তাই ভারতের কোচ ইগর স্টিমাক তাঁর ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীকে এই ম্যাচে বিশহরাম দিয়েছিলেন। তবে শেষ পনেরো মিনিতের জন্য নামানো হয় সুনীলকে। একটি গোল করার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। অনিরুদ্ধ থাপার ফ্রি কিকে হেড-টা গোলে রাখতে পারলেই গোল হত। কিন্তু সুনীলের হেড বাইরে যায়। ম্যাচের শুরুতেই দিনের সহজতম সুযোগটা নষ্ট করেন অনিরুদ্ধ। ছয় গজের সামনে থেকে তাঁর প্লেসিং পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া ভারত আর তেমন সুযোগ পায়নি।
লেবাননের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে ভারত যত বার মুখৌমুখি হয়েছে লেবাননই বেশি জিতেছে বা ম্যাচ ড্র হয়েছে। এদিনও তাদের দাপট বেশি ছিল। কিন্তু সন্দেশ ঝিঙ্গনের নেতৃত্বে ভারতীয় ডিফেন্স তাদের গোল করার জন্য দরজা খুলে দেয়নি। সুনীলের পরিবর্তে এদিন সন্দেশই ভারতের নেতৃত্ব দেন। এবং নিখিল পুজারি, আনোয়ার আলি এবং আকাশ মিশ্রকে নিয়ে লেবাননের আক্রমণকে রোখার ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নেন। মূলত তাঁদের জন্যই সারা ম্যাচে অমরিন্দর সিংকে একটির বেশি বল আটকাতে হয়নি। এর জন্য সন্দেশদের ডিফেন্সকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সন্দেশ। এটি ছিল দেশের হয়ে তাঁর একান্নতম ম্যচ। ভারতের মাঝ মাঠে অনিরুদ্ধ থাপা, জিকসন সিং এবং ছাংতে বেশ ভাল খেলেছেন। সামনের দিকে সাহাল আব্দুল সামাদ, উদান্ত সিং এবং আশিক কুরুনিয়নের জন্য তাঁরা অনেক বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু গোল মুখে ব্যর্থতার জন্য গোলের মুখ দেখেনি ভারত। বক্সের মধ্যে সুবিধেজনক জায়গায় বল পেয়েও গোলে শট না করে ব্যাক পাস বা স্কোয়ার পাস করতে গিয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ভারতের স্ট্রাইকাররা। শেষ দিকে নামানো হয় নাওরেম মহেশ সিংকে। কিন্তু তিনি তেমন সুবিধে করতে পারেননি।
ফাইনাল ১৮ জুন। তার আগে স্টেজ রিহার্সাল সেরে নেল দুই দল। শেষ বাজিটা কে মারতে পারে তাই এখন দেখার।