নয়াদিল্লি: ভারত সরকারের (Government of India) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন টুইটারের (Twitter) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডর্সি (Jack Dorsey)। তিনি বলছেন, কৃষক আন্দোলন (Farmer Protest) চলাকালীন তার সমর্থনে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হচ্ছিল এবং যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট সরকারের সমালোচনা করছিল সেই সমস্ত ব্লক করার ‘অনুরোধ’ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ডর্সির দাবি, তা না করা হলে ভারতে টুইটার বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, এমনকী এদেশে টুইটারের কর্মীদের বাড়িতে হানা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে ‘ব্রেকিং পয়েন্ট’ নামে এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সংস্থার প্রাক্তন সিইও। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দায়িত্বে থাকাকালীন কোনও বৈদেশিক সরকারের চাপ এসেছিল কি না। উত্তরে ডর্সি বলেন, ভারত এমন এক দেশ যারা কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে এমন একাধিক অনুরোধ করেছিল, কিছু বিশেষ সাংবাদিক যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছিলেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করার অনুরোধ এসেছিল। ডর্সি আরও বলেন, ভারত সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়, না হলে ভারতে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা কি না আমাদের বড় মার্কেট।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের
Jack Dorsey, former Twitter CEO alleges that during the farmer protest Indian govt pressurized us(Twitter) and said we will shut down Twitter in India, raid the homes of your employees if you don’t listen to us. pic.twitter.com/tnNYta5G20
— Megh Updates ?™ (@MeghUpdates) June 12, 2023
ডর্সি আরও বলেন, ‘কর্মীদের বাড়িতে হানা দেব’, ‘কথা না শুনলে অফিস বন্ধ করে দেব’ বলে হুমকি দেয় নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার। অথচ দেশটা নাকি গণতান্ত্রিক।
This is an outright lie by @jack – perhaps an attempt to brush out that very dubious period of twitters history
Facts and truth@twitter undr Dorsey n his team were in repeated n continuous violations of India law. As a matter of fact they were in non-compliance with law… https://t.co/SlzmTcS3Fa
— Rajeev Chandrasekhar ?? (@Rajeev_GoI) June 13, 2023
পাল্টা দিয়েছেন দেশের ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajiv Chandrashekhar)। ডর্সিকে দাবিকে ‘সর্বৈব মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে উল্টে চন্দ্রশেখর বলছেন, সম্ভবত ওই সময়ে টুইটারের সন্দেহজনক ইতিহাসকে মুছে ফেলতে এই প্রচেষ্টা। প্রতিমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বার বার ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করেছে টুইটার। শেষে ২০২২-এর জুলাই মাসে তারা কেন্দ্রীয় আইন মেনে নেয়। টুইটার বন্ধও হয়নি আর কেউ জেলেও যায়নি।
চন্দ্রশেখর আরও লেখেন, ডর্সির আমল ভারতের আইন কানুনের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে সমস্যায় পড়ে ছিল। ওরা এমন আচরণ করছিল যেন ভারতীয় আইন ওদের উপর প্রযোজ্য নয়। সার্বভৌম দেশ হিসেবে এদেশে কাজ করা প্রতিটি সংস্থা আইন মানছে কি না তা নিশ্চিত করার অধিকার রয়েছে ভারতের। ২০২১-এর জানুয়ারিতে আন্দোলনের সময় বহু মিথ্যে প্রচার চলছিল। এমনকী হত্যাকাণ্ডের মিথ্যা খবরও ছড়াচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, টুইটারের নতুন সিইও ইলন মাস্ক (Elon Musk) অনেকটা প্রাক্তনের মতোই মত পোষণ করেন। এর আগে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া আইনকে ‘কড়া’ আখ্যা দেন তিনি। এ বছরের এপ্রিলে মাস্ক বলেন, তিনি দরকার হলে সরকারের নীতি মেনে নেবেন কিন্তু টুইটার কর্মীদের জেলে যেতে দেবেন না।