ভারত–০, লেবানন–০, ২
শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারে লেবাননকে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে উঠল ভারত। সামনের মঙ্গলবার তারা ফাইনালে খেলবে কুয়েতের সঙ্গে, যারা এদিন ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। লেবাননের বিরুদ্ধে শনিবার ভারত যা খেলেছে তাতে তারা নির্দ্ধারিত সময়েই জিততে পারত। কিন্তু গোল মুখে ব্যর্থতার জন্য গোল করতে পারেনি ভারত। এ ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি দায়ী ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। আট গজের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও তিনি বাইরে মারেন। শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারে ম্যাচের ফয়সালা হয়। ভারতের হয়ে চারটি শটে চারটিতেই গোল করেন সুনীল ছেত্রী, আনোয়ার আলি, নাওরম মহেশ সিং এবং উদান্ত সিং। লেবাননের হয়ে শৌর এবং সাদেক গোল করলেও অধিনায়ক হাসান এবং বাদের গোল করতে পারেননি। সাদেকের শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত সিং, আর বাদেরের শট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
ভারতের কোচ ইগর স্টিমাক দুই ম্যাচে জন্য নির্বাসিত। ফাইনালে ভারত উঠলেও তাঁকে গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখতে হবে। সঙ্গে তাঁর জরিমানা হয়েছে ৫০০ ডলার। তবে ভারত ম্যাচ জেতার পর গ্যালারিতে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন ভারতের কর্মকর্তারা। স্টিমাকের টিম ১২০ মিনিট খেলার পরেও যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে টাই ব্রেকারে চারটি শটে চারটিতেই গোল করেছে তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার। তা হল সেমিফাইনালে টাই ব্রেকারের কথা ভেবে বেশ ভাল করেই প্র্যাক্টিস করেছে ভারত। প্রথমার্দ্ধে দু্ দলই মাঝ মাঠ নির্ভর ফুটবল খেলেছে। তখন সুনীল ছেত্রী একটু নীচ থেকে অপারেট করছিলেন। সামনের দিকে ছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ এবং আশিক কুরুনিয়ন। কিন্তু দু জনের কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ওদের দুজনকে তুলে নিয়ে নাওরম মহেশ সিং এবং উদান্ত সিংকে নামানোর পর ভারতের আক্রমণ অনেক বেশি জোরদার হয়। বিশেষ করে ডান প্রান্তে উদান্ত, বাঁ দিকে মহেশ এবং ভেতরে ছাংতের ত্রিমুখী ফলায় বার বার বিদ্ধ হতে থাকে লেবানন। কিন্তু সুনীলের ব্যর্থতায় গোল হয়নি। উল্টো দিকে লেবানন বার বার ভারতের বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করার লিক ছিল না তাদের। তাই গুরপ্রীতকে তারা সেভাবে ঝামেলায় ফেলতে পারেনি।
অতএব ভারত আবার ফাইনালে। সামনে আবার কুয়েত, যাদের সঙ্গে গ্রুপ লিগে শেষ দিকে গোল খেয়ে ভারত নিশ্চিত জয় হতছাড়া করেছিল। মঙ্গলবার নিশ্চয়ই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।