আবার একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নামছে ইগর স্টিমাকের ভারতিয় ফুটবল দল। শুক্রবার থেকে ভুবনেশ্বরে শুরু হচ্ছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ফুটবল। ভারতকে নিয়ে মোট চারটি দেশ খেলবে। বাকি তিনটি দেশ হল লেবানন, ভানুয়াতু এবং মঙ্গোলিয়া। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে চারটায় লেবানন এবং ভানুয়াতু ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। সন্ধে সাড়ে সাতটায় ভারত খেলবে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে। ১২ জুন ভারত খেলবে ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে। ১৫ জুন ভারত মুখোমুখি হবে লেবাননের। ফাইনাল ১৮ জুন। এই প্রথম ভুবনেশ্বরে ভারতের সিনিয়র ফুটবল টিম খেলবে। তথ্যটা অজানা ছিল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর। তিনি আশা করেছেন তাদের সমর্থণ করতে মাঠ ভেঙে পড়বে। ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারত এখন আছে১০১ নম্বরে। মার্চ মাসে ইম্ফলে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে। সেবার ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কিরঘিস্থান এবং মায়ানমার। এবার ভারত যাদের বিরুদ্ধে খেলবে তাদের মধ্যে লেবানন (৯৯) ছাড়া বাকি দুটি দল ভারতের অনেক নীচে। মঙ্গোলিয়া আছে ১৬৪ নম্বরে। আর ভানুয়াতু আছে ১৮৩ নম্বরে।
পূর্ব এশিয়ার টিম হল মঙ্গোলিয়া। এই প্রথম তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে। তাদের কোচ হলেন জাপানের ইচিরো ওসতুকা। মঙ্গোলিয়ার কোচ ওসতুকা সাংবাদিক সম্মেলনে কবুল করেছেন ভারতে আসার আগে তিনি স্বদেশী ফুটবলার ইজুমি আরাতার কাছ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। জাপানি ফুটবলার আরাতা খেলতেন মাঝ মাঠে। ভারতে খেলতে এসে তিনি এ দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে ভারতের জার্সি গায়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। তাই তাঁর তথ্য বেশ কাজে লাগবে ওসতুকার। তবে মঙ্গোলিয়ার জাতীয় লিগের মান সম্পর্কে তিনি খুব একটা প্রশংসা করেননি। যদিও জানাতে ভোলেননি ওই লিগে জাপানিদের সঙ্গে ব্রাজিলের ফুটবলাররাও খেলেন।
ভারতীয় দলে চোটের জন্য নেই মনবীর সিং, ইয়াসির আমেদ এবং নাওরম রোশন সিং। ভারতের কোচ যে সম্ভাব্য এগারোজনের কথা বলেছেন তাতে গোলে খেলবেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ভারত খেলবে ৪-২-৩-১ ছকে। চার ডিফেন্ডার হলেন রাহুল বেকে, প্রীতম কোটাল, আনোয়ার আলি এবং আকাশ মিশ্র। দুই ডিফেন্সিভ মিডিও হলেন জিকসন সিং এবং লালেনমাইয়া। তিন আ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেন ছাংতে, অনিরুদ্ধ থাপা এবং সুনীল ছেত্রী। সিঙ্গল স্ট্রাইকার রহিম আলি। ভারতীয় দলে এখন মাত্র দুজন বঙ্গসন্তান। তাঁরা হলেন প্রীতম কোটাল এবং রহিম আলি। ভারতের কোচ স্টিমাক বলেছেন, তাঁর দল জেতার জন্যই মাঠে নামবে এবং শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাবে। মঙ্গোলিয়ার যা শক্তি তাতে তারা ড্র করতে পারলেই নিজেদের ধন্য মনে করবে। তাই দেখার ভারত কত গোলে জেতে এবং কত তাড়াতাড়ি গোল করতে পারে।