নয়াদিল্লি: সিলেবাসে (Syllabus) সামঞ্জস্য রাখার কথা বলে স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আইআইটির প্রতিষ্ঠাতাকেও সিলেবাস থেকে বাদ দিয়েছে। দশম শ্রেণীর সিলেবাসে আর থাকবে না উপাদানের পর্যায় সারণী (periodic table of elements)। পরিবেশগত ধারণ ক্ষমতাও (Environmental sustainability ) পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে (removed from the curriculum)। দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (The National Council of Educational Research and Training ) স্কুল সিলেবাস দেখে। ১১ থেকে ১৮ বছরের ১৩৪ মিলিয়ন ছাত্র ছাত্রীর সিলেবাস দেখাশোনা করে। এর আগে তারা বিবর্তনবাদ পাঠ্যসূচী থেকে বাদ দিয়েছিল। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়েছিল।
কী কী বাদ দেওয়া হয়েছে? গণতন্ত্র ও বৈচিত্র, রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। শিল্প বিপ্লবও বাদ দেওয়া হয়েছে। এর সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ওই সব বিষয় এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: Shahrukh Khan | শাহরুখের দুবাইয়ের বাড়ির মূল্য কত?
মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞান প্রশিক্ষক মাইথিলি রামচাঁদ বলেন, সব কিছুই জলের সঙ্গে সম্পর্কিত। বায়ু দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটাই বোঝা যাচ্ছে না কী করে জল সংরক্ষণ, বায়ু দূষণ এখন আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। গত মাসে এটাও জানা গিয়েছিল মৌলানা আবুল কালাম (Maulana Abul Kalam Azad) আজাদের রেফারেন্স পাঠ্যসূচি থেকে সরানো হয়েছিল। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজাদ ব্রিটেন থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন। তিনি ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫১ সালে আজাদ খড়গপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (Indian Institute of Technology) উদ্বোধন করেছিলেন। তারপরে ২৩টি আইআইটি হয়েছে। এনসিইআরটি জানিয়েছে সিলেবাসে সামঞ্জস্য রাখার জন্য এই পদক্ষেপ।