ইন্দোর: লাঞ্চেই ৮৪ রানে সাত উইকেট হারিয়েছিল ভারত। তবু আশা ছিল, কারণ ক্রিজে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। প্রথম জন এই সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অশ্বিনও ব্যাট হাতে উদ্ধার করেছেন দলকে। কিন্তু ইন্দোরের পিচে পারলেন না তিনি। অক্ষর শেষ পর্যন্ত নট আউট ছিলেন, কিন্তু ভারত অল আউট হয়ে গেল ১০৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ উইকেট নিলেন ম্যাথিউ কুনেমান।
ভারতের টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার আবার ব্যর্থ। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বড় গলায় বলেছিলেন, তাঁর দলের সবাই টপ অর্ডার ব্যাটার। যাঁরা রান করছেন না তাঁরা ঠিক রানে ফিরবে। কিন্তু এদিন রোহিত নিজে জঘন্য শট খেলে আউট হলেন। বলের লেন্থ ঠিকমতো বুঝলেন না পুজারাও।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: স্পিনের জালে আটকে ভারত, ৮৪ রানে পড়ল ৭ উইকেট
ইন্দোরের পিচ বরাবর পাটা, ব্যাটারদের স্বর্গ। র্যাঙ্ক টার্নার যাকে বলে তা তৃতীয় দিন থেকে হয়ে ওঠে। এই টেস্টে কিন্তু প্রথম দিন, প্রথম সেশন থেকে বল ঘুরছে। তার থেকেও বিপজ্জনক, নিচু হয়ে যাচ্ছে। পুজারার শট সিলেকশন ভুল ছিল ঠিকই কিন্তু বল এতটা নিচু হবে তিনি ভাবতে পারেননি। ভারতের যদি এই অবস্থা হয়, অশ্বিন-জাদেজাদের সামনে অস্ট্রেলিয়ার কী হবে ভগবান জানেন। এই টেস্ট তিনদিন চললে বিরাট ব্যাপার।
শ্রীকর ভরতকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), কিন্তু টড মারফির বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন তিনি। শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) আগে জাদেজাকে নামানোর সিদ্ধান্তও কার্যকর হল না। এলবিডব্লিউ হতে হতে বেঁচে গিয়ে তার পরের বলেই ক্যাচ আউট তিনি। শ্রেয়সও প্লেড অন হলেন। এলবিডব্লু হলেন ভরতও।
অবশেষে কে এল রাহুলকে (KL Rahul) শুভমান গিলকে (Shubman Gill)। খেলানো হয়েছিল। তিনি শুরুটা ভালোই করেছিলেন। পেসারদের বিরুদ্ধে বাউন্ডারি মারলেন তিনটে। ১৮ বলে ২১ রান করে বাঁ হাতি স্পিনার কুনেমানের বলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। রোহিত শর্মা স্বভাববিরুদ্ধ শট খেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হলেন।