ভারত-১ আফগানিস্তান–১
( ওভাইস আজিজি–নিজ গোল) (হোসেন জামানি)
পড়ে পাওয়া গোল পেয়েও আফগানিস্তানকে হারাতে পারল না ভারত। ৭৮ মিনিটে গোল করার পর চার মিনিট যেতে না যেতেই গোল খেয়ে যায় ইগর স্টিমাকের ছেলেরা। তবে এর ফলে ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের তৃতীয় রাউন্ডে চলে গেল ভারত। তবে মাথা নীচু করে। দোহায় মঙ্গলবারের ম্যাচে ভারত কখনও খুব ভাল খেলতে পারেনি। তার ওপর ৬৮ মিনিটে সুনীল ছেত্রীকে তুলে নিয়ে লিস্টন কোলাসোকে নামানো হয়। কেন তা শুধু কোচই বলতে পারবেন। তবে এর দশ মিনিট পরে গোল পেয়ে যায় ভারত। বাঁ দিক থেকে আশিক কুরিয়ান একটা উঁচু সেন্টার করেছিলেন বক্সের মধ্যে। আফগান গোলকিপার আজিজি বলটা গ্রিপও করেন। কিন্তু তালুর মধ্যে রাখতে পারেননি। বল তাঁর হাত থেকে পড়ে গিয়ে দু পায়ের ফাঁক দিয়ে গোলে ঢুকে যায়।
ম্যাচ শেষ হতে তখন বারো মিনিট বাকি। এই সময়টা কাটাতে পারল না ভারতীয় ডিফেন্স। চার মিনিট যেতে না যেতেই কুড়ি বছর বয়সী আফগান স্ট্রাইকার বক্সের মধ্যে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করে ভারতের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। অতএব শেষ হল ভারতের বিশ্ব কাপ অভিযান। পাঁচ টিমের গ্রূপে আট ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে ভারতের বিশ্ব কাপ অভিযান শেষ। অপেক্ষা শুরু এশিয়া কাপের কোয়ালিফাইয়ের জন্য।
বাংলাদেশকে ভারতের যে দলটি ২-০ গোলে হারিয়েছিল সেই টিমে দুটি পরিবর্তন করেন ইগর স্টিমাক। রাইট ব্যাকে ফিরে আসেন রাহুল বেকে। আর মাঝ মাঠে শুরু থেকেই ছিলেন আশিক কুরিয়ান। গোলকিপার গুরপ্রীতের সামনে বাকি তিন ডিফেন্ডার ছিলেন চিঙ্গলসানা সিং, সন্দেশ ঝিঙ্গন এবং শুভাশিস বসু। মাঝ মাঠে গ্লেন মার্টিনস, সুরেশ সিং, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ এবং আশিক কুরিয়ান। ফরোয়ার্ডে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মনবীর সিং। ড্র করলেই যখন এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের তৃতীয় রাউন্ডে পৌছনো যাবে তখন ভারতীয়দের মধ্যে গোল করার তেমন তাগিদ লক্ষ্য করা যায়নি। খানিকটা গয়ং গচ্ছ ভাব ছিল প্লেয়ারদের মধ্যে। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে প্রচুর মিস পাস এবং উদ্দেশ্যহিন ছোটাছুটি। কিন্তু আফগানিস্তান টিমের তেমন ওজন না থাকায় ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি।
তবু ওরই মধ্যে ভারতের মিডফিল্ডার ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজকে চোখে পড়েছে তাঁর ছটফটানির জন্য। ডান দিক থেকে তাঁর দৌড়গুলো বিপজ্জনক ছিল। তবে সেগুলোকে গোলে পরিণত করার জন্য স্ট্রাইকারদের মধ্যে যে তৎপরতা দরকার হয় তা সুনীল ছেত্রী কিংবা তাঁর সহযোগী মনবীর সিং। আফগানিস্তান ডিফেন্সে ছিলেম মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ খেলে যাওয়া সোহেল আমিরি। কিন্তু সুনীল বা মনবীর তাঁকে বিরক্ত করতে পারেননি। প্রথমার্দ্ধের একেবারে শেষ দিকে সুরেশের থ্রূ পাস তাড়া করে মনবীর পৌছে যান আফগান পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু তিনি বলের কাছে পৌছবার আগেই বল ধরে নেন আফগান গোলকিপার।তার আগে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে উষ্মা প্রকাশ করে হলুদ কার্ড দেখেন কোচ স্টিমাক। ভারতের কোচ হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেননি। এখন দেখার তিনি ভারতকে এশিয়া কাপে তুলতে পারেন কি না।