কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেছিলেন, যদি কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়ায় দলীয় শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বলছি পার্টির সঙ্গে লড়াইয়ের আঙিনায় যে বেইমানি করবে যতদিন তৃণমূল থাকবে সেই বেইমানগুলোকে তৃণমূলে আর নেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার (Discipline) উর্দ্ধে কেউ নয়। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সবাইকে মানতে হবে। পঞ্চায়েতে যারা দলের টিকিট পাননি তাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়ালে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাঁদের আর দলে নেওয়া হবে না। এমনকী ভোটের আগে বিভিন্ন জেলায় নির্দল (Independent) হয়ে দাঁড়ানোর জন্য, দলের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনেককে ঘোষণা করে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে ভোটে জেতার পরে নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলে ভিড়তে শুরু করেছেন। ফলে যে ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোটের ফলাফলের পরপরই নির্দল প্রার্থীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার জয়ী নির্দল প্রার্থীদের হাতে পতাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁদের বুকে টেনে নিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র (Soumen Kumar Mahapatra)।
দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন যারা, তাদের দল থেকে সাসপেন্ড করেছিলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পাঁশকুড়া ব্লকের দুই নির্দল প্রার্থী সুভাষ দলুই এবং শেখ ফরিদুল ইসলাম ভোটে জিতেই ফিরলেন তৃণমূলে। একইসঙ্গে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে সিপিএমের প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত প্রার্থী সেখ শাজাহান আলিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েতের ফলে খুশি সিপিএম
ভোট পর্ব মিটতে না মিটতেই দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে দলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের হাত ধরে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করলেন। যা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। তবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সৌমেন মহাপাত্র।
মুর্শিদাবাদে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা অনেকেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটে জিতলে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তিনি দরবার করবেন। এখন দেখার পরবর্তী ক্ষেত্রে জল কতদূর গড়ায়।